ভিক্টর পরিবহণের চালকসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

রাজধানীর প্রগতি সরণিতে বাসচাপায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাদিয়া সুলতানা নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলায় ভিক্টর পরিবহণের চালক আরিফুল ইসলাম ও হেলপার আবুল খায়েরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অভিযোগপত্রে লিটন নামে ভিক্টর পরিবহণের আরেক চালককে অব্যাহতির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
আজ রোববার (২৭ আগস্ট) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ভাটারা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল ইমাম রাজন।
অভিযোগপত্রে ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের ৯৮/১০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) রাকিব বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বিচারক মামলার অভিযোগপত্র দেখিলাম বলে স্বাক্ষর করেছেন।’
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে এক বন্ধুর সঙ্গে মোটরসাইকেলযোগে বই কিনতে উত্তরার বাসা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় যাচ্ছিলেন নাদিয়া। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয় ভিক্টর ক্ল্যাসিক পরিবহণের একটি বাস। এতে দুজনই রাস্তায় ছিটকে পড়েন। এ সময় বাসটি নাদিয়াকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান এই শিক্ষার্থী। গুরুত্বর আহত হন নাদিয়ার বন্ধু মেহেদি।
নাদিয়া নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। দুর্ঘটনার মাত্র দুই সপ্তাহ আগে তিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। তিনি পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেনের মেয়ে। তার বাবা জাহাঙ্গীর একটি পোশাক কারখানায় সহকারী মহাব্যবস্থাপক পদে চাকরি করেন। তিন বোনের মধ্যে নাদিয়া ছিলেন সবার বড়। এ ঘটনায় নাদিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে রাজধানীর ভাটারা থানায় নিরাপদ সড়ক আইনের ১০৫ ধারায় মামলা করেন।