ফেসবুকে প্রেম, ঢাকায় এনে ধর্ষণ, অবশেষে যুবকের যাবজ্জীবন
ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাদের। এরপর দেখানো হয় বিয়ের প্রলোভন। শরীয়তপুর থেকে মেয়েকে আনা হয় ঢাকায়। সেখানে আটকে রেখে একাধিক বার ধর্ষণের পর পালিয়ে যেতে সক্ষম হন ভুক্তভোগী। এরপর বাবাকে জানালে হয় মামলা। সেই মামলার রায় ঘোষণা করেছেন আদলত। ধর্ষণের দায়ে মো. রবিন মাদবারকে দিয়েছেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।
গতকাল বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মো. শাহাদত হোসেন এই রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণা শেষে আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও ছয়মাস কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দিয়েছেন।
নথি থেকে জানা গেছে, করোনার সময়ে রবিন এক মেয়ের সঙ্গে ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ২০২০ সালের ১০ জুলাই শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে ঢাকার লালবাগের একটি বাসায় আনেন। সেখানে আটকে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। দুদিন পর ভুক্তভোগী মেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে তার বাবাকে ঘটনা জানান। ১৩ জুলাই ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে রবিনকে আসামি করে রাজধানীর লালবাগ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন।
পরে ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর আজ আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করেন আদালত।