অষ্টম শ্রেণি পাস সার্জনের কারাদণ্ড, ক্লিনিক বন্ধ
মনিরুল ইসলাম ওরফে স্বপন বিশেষজ্ঞ সার্জন! শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। খুলে বসেন সততা ক্লিনিক অ্যান্ড নার্সিং হোম নামে একটি চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে তিনি নিজেই অন্তঃসত্ত্বা নারীদের অস্ত্রোপচার (সিজারিয়ান অপারেশন) করতেন।
নওগাঁর সাপাহার উপজেলা সদরে গড়ে ওঠা ওই ক্লিনিক আজ শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে অভিযান চালিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় মনিরুল ইসলামকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরও সাতদিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সাপাহার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রুহুল আমিন এবং থানার পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় এক সাংবাদিক জেলা প্রশাসক (ডিসি) স্যারকে ভুয়া চিকিৎসক মনিরুল ইসলামের অস্ত্রোপচার করার একটি ছবি পাঠান। বিষয়টি আমলে নিয়ে ডিসি স্যার আমাকে খোঁজখবর নিতে বলেন। আজ সকালে মনিরুলের ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে গিয়ে জানা যায়, ক্লিনিকটি অনুমোদন ছাড়াই চলছিল। বিধি অনুযায়ী ক্লিনিকে একজন সার্বক্ষণিক চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও সেখানে কোনো চিকিৎসক পাওয়া যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদে মনিরুল অস্ত্রোপচারের অভিযোগের বিষয়টি আদালতের কাছে স্বীকার করলে তাঁকে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এ সময় ছয় হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও সাত দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়। এ ছাড়া ক্লিনিকের অনুমোদন, প্রয়োজনীয় চিকিৎসক ও নার্সসহ চিকিৎসার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় ক্লিনিকটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।’
ডা. রুহুল আমিন বলেন, ‘মনিরুলের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি পাস। তাঁর ডাক্তারি কোনো সনদ নেই। তারপরও তিনি ক্লিনিক খুলে অস্ত্রোপচার করতেন। এটা খুবই ভয়ানক একটা বিষয়।’