ফরিদপুরে কলেজছাত্র হত্যার প্রধান আসামি কানা তুষার গ্রেপ্তার
কলেজছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগকে (২৮) হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত প্রধান আসামি কানা তুষারকে গ্রেপ্তার করেছে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) ভোররাতে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ সময় কানা তুষারের কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ফরিদপুরের অম্বিকাপুরে নৃশংসভাবে কুপিয়ে বাম হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করা হয় কলেজছাত্র আসাদুজ্জামান নূর ওরফে তুরাগকে।
তুরাগ হত্যা মামলায় এ পর্যন্ত তুষারসহ মোট সাত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কানা তুষারের বিরুদ্ধে হত্যাসহ ২১টি মামলা রয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান জানান, গত ১১ অক্টোবর সন্ধ্যার দিকে অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ধুলদি গোবিন্দপুর এলাকায় মেহগনি বাগানে নিয়ে আসাদুজ্জামান তুরাগকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর তাঁর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার একটি হত্যা মামলা করেন। হত্যা মামলার পর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আজ ভোররাতে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে কানা তুষারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে, সদর উপজেলার চণ্ডীপুর এলাকা থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
কানা তুষারের কাছ থেকে আমেরিকার তৈরি পিস্তল উদ্ধার নির্বাচনের আগে এটি জেলা পুলিশের একটি বড় ধরনের সফলতা বলে মনে করছেন পুলিশ সুপার। এসব অস্ত্র নির্বাচনের সময় ব্যবহার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বলেও জানান তিনি। তাঁর কাছে আরও কোনো অস্ত্র আছে কি না তা নিশ্চিত হতে তাঁকে রিমান্ডে আনা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে আসামি কানা তুষারকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশকে তিনি জানিয়েছেন, হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার জন্য পিস্তলটি শহরের গৃহ লক্ষ্মীপুরের মাদক ব্যবসায়ী মীর উজ্জ্বলের মাধ্যমে জনৈক অস্ত্র ব্যবসায়ীর কাছ থেকে এক লাখ ৪০ হাজার টাকায় কিনেন। এ পিস্তল কেনার সব টাকার জোগান দেন আসামি উজ্জ্বল। পুলিশকে তার কাছ থেকে এর আগেও একাধিক পিস্তল কেনার কথা জানান কানা তুষার।
গত ১১ অক্টোবর মাদক ব্যবসার জের ধরে সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের বোটানি বিভাগের ছাত্র তুরাগকে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তুরাগের বাম হাত কেটে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। এ ছাড়া তাঁর শরীরে বিভিন্ন জায়গায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে ক্ষত করা হয়। খবর পেয়ে ওই দিন রাতেই তাঁর ক্ষত-বিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।