সাত মিনিট অন্তর চলবে মেট্রোরেল, এমআরটি পাস কেনার হিড়িক
মেট্রোরেলে সহজে যাতায়াতের জন্য গত পাঁচদিনে প্রায় ৪০ হাজার এমআরটি পাস কিনেছেন যাত্রীরা। আর যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে মেট্রো ট্রেনের চলাচলের মধ্যবর্তী সময় কমানোর চিন্তা করছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড বা ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক এনটিভি অনলাইকে এ তথ্য জানান।
এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, ‘গত পাঁচ দিনে প্রায় ৪০ হাজার যাত্রী আমাদের এমআরটি পাস কিনেছেন। ভিড় কমাতে আমাদের মেট্রো ট্রেন চলাচলের মধ্যবর্তী সময় কমিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। যা ছয় থেকে সাত মিনিট পর পর ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ছাড়া আপাতত কোচ (বগি) বাড়ানোর চিন্তা নেই।’
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, ‘বর্তমানে মেট্রোরেল প্রতিদিন দেড়শ বার যাতায়াত করছে ও এখন ১০ মিনিট পর পর মেট্রো ট্রেন চলছে। যদি আমরা সময় কমিয়ে আনি সেক্ষেত্রে চলবে ১৭০ থেকে ১৮০ বার। এতে মেট্রোরেলে যাত্রীদের ভোগান্তি কমবে। এছাড়া প্রতি কোচে দুই হাজার ৩০৮ জন যাত্রী বহনের সুযোগ রয়েছে। সে তুলনায় যাত্রী যাচ্ছে এক হাজার ৮০০ থেকে দুই হাজার। প্রতিটি কোচে গেট রয়েছে চারটি, কিন্তু যাত্রী উঠছে দুটি গেট দিয়ে। মানুষ এখনো অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি। এতে প্রতি কোচে ২০০ জনের বেশি যাত্রী বহনের জায়গা খালি যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে গত বছরের ৪ নভেম্বর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। গত ৩১ ডিসেম্বর সর্বশেষ মেট্রোরেলের শাহবাগ ও কারওয়ানবাজার স্টেশন চালু হয়। আর এবছরের ২০ জানুয়ারি থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল অংশে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করছে মেট্রোরেল।
মেট্রোরেলের ১৬টি স্টেশন হলো— উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয় এবং মতিঝিল।