মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা
মিরপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালকরা। এ সময় অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর ও সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনরত রিকশাচালকরা। সংঘর্ষের ফলে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। আজ রোববার (১৯ মে) বিকেল পৌনে তিনটার দিকে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুন্সির সাব্বির এ তথ্য জানিয়ে বলেন, প্রায় চার ঘণ্টা অবরোধের কারণে সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েন। আড়াইটার পর একপাশ দিয়ে বাস চলাচল শুরু করলে তিনটি বাস ভাঙচুর করে অটোরিকশা চালকরা।
ওসি জানান, সংঘর্ষের পর ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দ্বিগ্বিদিক হয়ে মানুষ এদিক-সেদিক ছুটতে থাকেন। বিকেল তিনটায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সংঘর্ষ চলছিল। তবে পুলিশের বাধায় তারা একপর্যায়ে সেখান থেকে সরে যায়।
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2024/05/19/mirpur.jpg 687w)
এর আগে সকালে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানোর অনুমতি চেয়ে লাঠি হাতে মিরপুরে সড়ক অবরোধ করেন চালকরা। তাদের অবস্থানের ফলে মিরপুরজুড়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন মানুষ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর পৌনে ৩টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলতে মিরপুর-১০ নম্বর এলাকায় আসেন ঢাকা-১৬ আসনের সংসদ সদস্য ইলিয়াস মোল্লা। তিনি আন্দোলনকারীদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন এবং অটোরিকশা চলাচলের বিষয়ে আলোচনার আশ্বাস দেন। তার আশ্বাসে চালকদের একটি অংশ আন্দোলন শেষ করে ফিরতে সম্মত হয়। তবে শেওড়াপাড়া থেকে আসা শ্রমিকদের একাংশ লাঠি হাতে হই-হুল্লোড় করে এসে আবারও অবরোধ শুরু করে। এ সময় পুলিশ তাদের সরে যেতে বললে তারা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, শেওড়াপাড়া দিয়ে মিরপুরের দিকে আসা অটোরিকশা চালকদের একটি অংশ ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে এবং লাঠি নিয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশও পাল্টা ধাওয়া দেয়। বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এরপরই মিরপুরের বিভিন্ন সড়ক দিয়ে থেমে থেমে যান চলাচল শুরু করে।