কুষ্টিয়ায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষ, আহত ১০
কুষ্টিয়ার কবুরহাট এলাকায় বিএনপি ও যুবদল নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ছোড়া কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেলে কমপক্ষে ১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) একজন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়া ২৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ।
গতকাল শনিবার (৮ জুন) বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের কবুরহাট সর্দার পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেলে অনুমতি না নিয়েই কবুরহাট এলাকায় সমাবেশের আয়োজন করে যুবদলের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে যোগ দিতে দুপুর থেকে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা আসতে থাকেন। দলটির নেতাকর্মীরা নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে বিশৃঙ্খলা ঘটাতে পারে, এমন তথ্যর ভিত্তিতে পুলিশ সেখানে যায়। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্যে করে বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। প্রায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে চলা সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে পুলিশের কঠোর পদক্ষেপে ঘটনাস্থল থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার অভিযোগ করে বলেন, ‘নিপীড়িত বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের একটি দল কুষ্টিয়ায় আসেন। তাদের নিয়ে পুলিশের মৌখিক অনুমতিতে শহরের নবীন টাওয়ারে এক সমাবেশের আয়োজন করেছিলাম। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অভিযোগ তুলে অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে পুলিশ আমাদের সমাবেশ বন্ধ করতে বলে। ছোট পরিসরে অন্য কোথাও করার জন্য বলা হয়। সেই মোতাবেক কবুরহাটে যুবদল নেতা মাজেদের বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে যাই। সেখানেও পুলিশ গিয়ে নেতাকর্মীদের মারধর শুরু করে। এ সময় নেতাকর্মীরা উত্তেজিত হয়ে কয়েকটা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এরপরেই পুলিশ নেতাকর্মীদের লক্ষ্যে করে গুলি ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় ১০ থেকে ১২ জন বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, ‘বিএনপি ও যুবদলের নেতারা অনুমতি ছাড়াই কর্মসূচি আয়োজন করেছিল। কর্মসূচিস্থলে পুলিশ দেখে বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে এবং টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে বটতৈল ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাদিকুর রহমান ভোটনকে আটক করা হয়েছে। এ ছাড়াও ঘটনাস্থলে ফেলে পালিয়ে যাওয়া বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের ২৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়েছে।’