সড়কে অনিয়ম করলেই স্বয়ংক্রিয় ভিডিও মামলা
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় শুরু হচ্ছে ই-ট্রাফিকিং। সড়কে শৃঙ্খলায় বাধা সৃষ্টি করলে, প্রচলিত আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ট্রাফিক শৃঙ্খলা বিঘ্ন ঘটানো ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত অপরাধে ভিডিও মামলা করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মনিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক স্মারক চিঠি ইস্যু করা হয়েছে। তাতে প্রত্যেকটি ট্রাফিক বিভাগে এ ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা প্রস্তুতি নিতে বলেছি। ট্রাফিক বিভাগগুলো মাঠ পর্যালোচনাও করবেন। দেখি যত দ্রুত সম্ভব এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।
ভিডিও প্রসিকিউশনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ, ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও, বডিওর্ন ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ যথোপযুক্ত প্রমাণাদি ভিডিও প্রসিকিউশন প্রদানে ব্যবহার করা যাবে। ধারণকৃত ভিডিও বিশ্লেষণ করে হবে স্বয়ংক্রিয় মামলা।
চিঠিতে ট্রাফিক-রমনা, ট্রাফিক-মতিঝিল, ট্রাফিক-ওয়ারী, ট্রাফিক-লালবাগ, ট্রাফিক-তেজগাঁও, ট্রাফিক-মিরপুর, ট্রাফিক-গুলশান ও ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) ডিএমপির ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেমে ভিডিও প্রসিকিউশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে প্রসিকিউশন প্রদান প্রসঙ্গে এ নতুন নির্দেশনা দেওয়া হয়।
তাতে বলা হয়েছে, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগে ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেমে স্ব-স্ব ট্রাফিক বিভাগের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ ও ছবির বিপরীতে প্রসিকিউশন প্রদানের জন্য ডিএমপি কমিশনার নির্দেশনা প্রদান করেছেন। সেই নির্দেশনার আলোকে ই-ট্রাফিক সফটওয়্যার ভিডিও প্রসিকিউশন এন্ট্রি এবং ভিডিও প্রসিকিউশন ভিউ নামে দুটি ট্যাব সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই দুটি ট্যাবে ইনপুট করা তথ্যের ভিত্তিতে প্রসিকিউশন সংক্রান্ত চিঠি স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রিন্ট হবে।
চিঠিতে বলা হয়, ভিডিও প্রসিকিউশনের ক্ষেত্রে সিসিটিভি ফুটেজ, ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও, বডিওর্ন ক্যামেরার ফুটেজ এবং অন্যান্য উৎস হতে প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ যথোপযুক্ত প্রমাণাদি ভিডিও প্রসিকিউশন প্রদানে ব্যবহার করা যাবে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ্য করা হয়, ডিএমপি অধ্যাদেশ ১০২ ধারা অনুযায়ী প্রসিকিউশন যানবাহনের মালিক বা চালকের হাজিরকরণ এবং সড়ক পরিবহণ আইন-২০১৮ ও সড়ক পরিবহণ বিধিমালা-২০২২ মোতাবেক ‘কর্তৃপক্ষ মোটরযান ও ড্রাইভিং লাইসেন্স সংক্রান্ত অপরাধের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা রয়েছে।’
নির্দেশনার আলোকে পজ ডিভাইসে ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে প্রসিকিউশনের ব্যবস্থা রয়েছে। এ অবস্থায়, ডিএমপির ই-ট্রাফিক প্রসিকিউশন সিস্টেমে ভিডিও প্রসিকিউশন এবং ড্রাইভিং লাইসেন্সের বিপরীতে প্রসিকিউশন প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মুনিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, এই সিদ্ধান্ত ছিল করোনাকালের আগে। করোনার কারণে সড়কে তো যান চলাচলই সীমিত ছিল। করোনায় জাতীয় শুদ্ধাচার নীতির কারণে অনেক সিদ্ধান্তই বাস্তবায়ন সম্ভব হয়নি। এখন সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের নির্দেশনা দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার। তিনি বলেন, আমরা প্রস্তুতি নিতে বলেছি। ট্রাফিক বিভাগগুলো মাঠ পর্যালোচনাও করবেন। দেখি যত দ্রুত সম্ভব এ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করা হবে।