মূল সড়কে চলতে পারবে না যেসব যানবাহন
রাজধানীর মূল সড়কে প্রায় সময়ই বাধে যানজট। বিশেষ করে অফিস ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুরু এবং শেষে এই প্রবণতা বেশি দেখা দেয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীবাসী। এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাড়। আজ শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানানো হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ দক্ষিণের যুগ্ম কমিশনার এস এম মেহেদী হাসান সংবাদ সম্মেলনে জানান, রাজধানীর মূল সড়কে অটোরিকশার পাশাপাশি ধীরগতির যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। এজন্য ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে আইন প্রয়োগের পাশাপাশি বিষয়টি সমন্বয়ে করা হচ্ছে।
এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আমরা কিছু কিছু ছোট রাস্তা যেগুলো বাইলাইন, মূল সড়ক নয় সেগুলো নির্ধারণের প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে আমরা ধানমণ্ডি এলাকায় কিছু রাস্তা নির্ধারণ করে দিয়েছি। ঢাকার মিরপুরে মূল সড়কে এসব রিকশা চলছে না। প্রগতি সরণি ভিআইপি রোড ছাড়াও মূল যেসব সড়ক আছে সেগুলোতে অটোরিকশা ছাড়া ধীরগতির যানগুলো চলবে না। এজন্য সমন্বয় ও আইন প্রয়োগ দুটিই আমরা একসঙ্গে করে যাচ্ছি।
মেহেদী হাসান আরও বলেন, অটোরিকশা শুধু ছোট ছোট সড়কে চলবে। বড় সড়কে উঠতে পারবে না। কিন্তু, এটা নিয়ে অটোরিকশাচালকদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। তবে, আমরা আমাদের ট্রাফিক কমিউনিটি, স্টেক হোল্ডার এবং অটোরিকশা কমিউনিটির মাধ্যমে সচেতন করছি।
ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের জন্য এটি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এস এম মেহেদী হাসান বলেন, আপনারা দেখেছেন গতকাল বৃষ্টির পানি জমে থাকার কারণে অনেক লক্কড়ঝক্কড় বাস নষ্ট হয়ে পড়েছিল। এমন বৃষ্টির পানির কারণে অনেক সিএনজি এবং ছোট ছোট যানবাহন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে আমরা নগরবাসীকে গতকাল হাতে সময় নিয়ে বের হতে বলেছিলাম।
মেহেদী হাসান আরও জানান, ঢাকায় যখন কোনো যানজটে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়, তখন ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সমন্বয় করে ভোগান্তি কমানোর জন্য কাজ করে। তবে, পুলিশের ব্যাকআপ থাকে। বিকল্প সড়ক থাকে। পুলিশ অবস্থান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়। ট্রাফিকের কোনো সেকশনে হঠাৎ যানজট লেগে গেলে অন্য বিকল্প সড়কগুলোতে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়।