শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে পুলিশে দেওয়ার অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে
সুনামগঞ্জে প্রতিবাদ কর্মসূচিতে জমায়েত হওয়ায় এক ছাত্রকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা কলেজ থেকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে পুলিশে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) বিকেলে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজে ক্যাম্পাস থেকে ওই ছাত্রকে ছাত্রলীগ তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
ওই শিক্ষার্থীর নাম মেহেদী হাসান সালমান (১৯)। সালমান সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি সদর উপজেলার ভৈইষবেড় গ্রামে। সালমানের ভগ্নিপতি মেহেদী হাসান এ অভিযোগ করেন।
মেহেদী হাসান বলেন, ‘ছাত্রলীগের ছেলেরা সালমানকে ধরে এনে থানায় দিয়েছে। এ খবর পেয়ে আমি থানায় আসি। থানা থেকে আমাকে বলা হয়েছে, সালমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সালমান কোনো রাজনীতি করে না।’
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লাল কাপড় বাঁধার কর্মসূচি পালনের জন্য বিকেলে কলেজ ক্যাম্পাসে জড়ো হচ্ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলেন তারা। কিন্তু দুজন ছাত্র ও কয়েকজন ছাত্রী প্রথমে বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কলেজে আসেন। এর মধ্যে হঠাৎ করে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত হন। এ সময় সালমানের মোবাইল কেড়ে নিয়ে তাকে মারধরের চেষ্টা করেন। পরে তাকে একটি মোটরসাইকেলে করে তুলে নেওয়া হয়। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান রিপন উপস্থিত ছিলেন বলেও শিক্ষার্থীরা জানান।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগের কেউ সালমানকে মোটরসাইকেলে করে কলেজ থেকে নিয়ে আসেনি বা পুলিশে দেয়নি। সে বহিরাগত হওয়ায় পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। পরে পুলিশই তাকে ধরে এনেছে। সে ছাত্র শিবির করে।’
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালেদ চৌধুরীর মুঠোফোনে কয়েকবার কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।