রাজধানীতে রাতভর ডাকাতির আতঙ্ক, উদ্বিগ্ন নগরবাসী
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির আতঙ্ক নিয়ে রাত পার করছেন সাধারণ মানুষ। কালশি এলাকায় পাহারা বসিয়ে অস্ত্রসহ বেশ কয়েকজনকে আটকও করেছে ছাত্র-জনতা। পরে তাদের সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে রাজধানীর ইসিবি চত্বর এলাকা থেকে ডাকাতির চেষ্টাকালে বেশ কয়েকজনকে ধরে ফেলে এলাকাবাসী। পরে তাদেরকে সেনাবাহিনীর টহল দলের হাতে তুলে দেন তারা। বসিলা এলাকায়ও একই পরিস্থিতির খবর পাওয়া গেছে।
বসিলায় কিশোর বয়সী কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্রসহ আটক করে স্থানীয় ছাত্র-জনতা। এ ছাড়া রাজধানীর মোহাম্মদপুর, আদাবর, উত্তরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকার চিত্রও প্রায় কাছাকাছি। ডাকাতির চেষ্টাকালে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটকের ঘটনাও ঘটেছে ডাকাত আতঙ্কের এই রাতে। এলাকাভিত্তিক পাহারা বসিয়ে রাতভর চলেছে ডাকাত প্রতিহতের চেষ্টা। এসব ঘটনার তথ্য, ছবি ও ভিডিও তুলে ধরে রাজাধানীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তারা দ্রুত ডাকাত প্রতিরোধে ব্যবস্থা নিতে সেনাবাহিনী ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে, দ্বিতীয় দিনের মতো নির্ঘুম রাত কেটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরবাসীর। ছিনতাই ও ডাকাতি ঠেকাতে নিজ নিজ এলাকায় পাহারা দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতভর পাহারায় অস্ত্রধারী ডাকাতও আটক হয়েছে জনতার হাতে।
গতকাল বুধবার দিনগত রাতেও ঘুমাননি মোহাম্মদপুর এলাকার বিপুল সংখ্যক বাসিন্দা। এলাকার গলিতে গলিতে দেখা গেছে তরুণদের অবস্থান। থানায় পুলিশ না থাকায় ছিনতাই ঠেকাতে নিজেরাই মাঠে নেমেছেন মোহাম্মদপুরের বাসিন্দারা। মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার বাসিন্দা মো. শাকিল গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার রাস্তায় ছিলাম। গতকাল বুধবারও ছিলাম। মঙ্গলবারের তুলনায়, বরং বুধবার লোক আরও বেশি ছিল। যতদিন পুলিশ না থাকবে, আমরা নিজেরাই আমাদের এলাকা পাহারা দেব।’
একই এলাকার বাসিন্দা ইরফান আহমেদ বলেন, ‘আমি মঙ্গলবার ছিলাম না। তবে বুধবারে ছিলাম। আমাদের আসলে রাস্তায় থাকতে হবে। নিজেদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্যই নিজেদের রাস্তায় থাকতে হবে। স্থানীয়দের সতর্কতায় বুধবার দিনগত রাতে ধরা পড়েছে একজন অস্ত্রধারী ডাকাত। মোহাম্মদপুরের মোহাম্মদীয়া হাউজিং লিমিটেড এলাকার বেড়িবাঁধ ইউল্যাব ক্যাম্পাসের বিপরীতে ওই ডাকাত আটক হন। যার হাতে পাওয়া গেছে বিদেশি মডেলের একটি পিস্তল।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আটক ব্যক্তির নাম পরিচয় পাওয়া যায়নি। ডাকাতির উদ্দেশে বের হওয়া ওই ব্যক্তি জনতার ধাওয়া খেয়ে দল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে জনতার হাতে ধরা পড়ে। আটক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যদের হাতে তুলে দেন আটককারীরা।
এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে যেমন, খুনলার চুকনগরের ইসমাইন হোসেন নামের এক ব্যবসায়ীর দোকান ভেঙে বেশ কয়েক বস্তা চাল ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। সাতক্ষীরার কলারোয়ার একটি দোকান ভেঙে ডাকাতি করা হয়েছে টাকা। দোকান থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র।