আমি কোনোদিন সরকারের সুবিধা নেইনি : শ্যামল দত্ত
গুলি করে ফজলু নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগে ভাষানটেক থানায় করা মামলায় দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্তের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ এ আদেশ দেন।
এদিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
এদিন শুনানি চলাকালে শ্যামল দত্ত আদালতকে বলেন, আমি একজন পেশাদার সাংবাদিক। আমি কোনো দিন সরকারের সুবিধা নেইনি। কোনো প্লট নেইনি। আমি জাতীয় প্রেসক্লাবের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক। সম্পাদক পরিষদের ভাইস প্রেসিডেন্ট। সরকারের নির্দেশনা আছে সাংবাদিককে গ্রেপ্তার না করা। তারপরও আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শুনানিতে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী শ্যামল দত্তের উদ্দেশে বলেন, তিনি কেন দাড়ি কাটলেন? মোজাম্মেল হক বাবুর সঙ্গে কেন পালাতে গেলেন। তিনি সাংবাদিক জাতির কলঙ্ক। তার ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে প্রার্থনা করছি।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর ভোরে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালানোর সময় শ্যামল দত্তকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ও পোড়াকান্দুলিয়া সীমান্তের মাঝামাঝি এলাকায় একটি প্রাইভেটকারসহ আটক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। এ দিন সোমবার রাত ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে তাদের আনা হয়।
মামলার নথি থেকে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর রাজধানীর ভাষানটেক থানা এলাকায় বিজয় মিছিল করতে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ফজলু মারা যান। এ ঘটনায় গত ১১ সেপ্টেম্বর নিহত ফজলুর ভাই সবুজ বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। এ মামলায় শ্যামল দত্তকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।