ঠাকুরগাঁওয়ে বজ্রাঘাতে নিহত ৩, আহত ৮
ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় বজ্রাঘাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছে আরও আটজন। আজ মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলো সদরের শুখানপুকুরী ইউনিয়নের লাউথুতি গ্রামের দুলাল ইসলামের ছেলে আরিফুল ইসলাম (১৫) ও একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে মনির ইসলাম (১৪) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের কালিবাড়ী গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান (২৩)।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আজ বিকেলে সদর উপজেলার ভুল্লী নদীতে গোসল করতে গিয়ে বজ্রাঘাতে ঘটনাস্থলেই দুজন প্রাণ হারায়। এ সময় আহত হয় আরও তিনজন।
আহতরা হলেন সদর উপজেলার গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের হাফিজুর রহমানের ছেলে ফারুক (১৫), একই ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর ছেলে ফরিদ (১৫) ও গৃহবধূ ফজিলা বেগম (৩৫) এবং বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের সাত বছরের শিশু রুমান, ১৩ বছর বয়সী কিশোর রানা, ১০ বছরের সাকিবুল, ফুলতলা গ্রামের আট বছরের ফয়সাল, উদয়পুর গ্রামের আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী মঞ্জুয়ারা বেগম (৪৫)।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ বি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে আজ বিকেলে সদর উপজেলাজুড়ে বৃষ্টিপাত শুরু হয়। বৃষ্টির সময় সদরের গড়েয়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের ভুল্লী নদীতে আরিফুল ইসলাম, মনির ইসলামসহ পাঁচজন গোসল করতে নামে। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাত ঘটলে বজ্রাঘাতে আরিফুল ইসলাম ও মনিরের মৃত্যু হয়। এ সময় বজ্রাঘাতে ফারুক, ফরিদ ও গৃহবধূ ফজিলা বেগম আহত হন। আহতদের ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে জেলার বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি মো. ফিরোজ কবির বলেন, বাড়ির বাহিরে আতাউরসহ পাঁচ-ছয়জন বসে ছিল। তখন হঠাৎ বজ্রপাত হলে আতাউর, রুমান, রানা, সাকিবুল, ফয়সাল আহত হয়। পরে তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার জন্য রওনা হন। হাসপাতালে নেওয়ার সময় আতাউরের মৃত্যু হয়।
অপরদিকে বজ্রাঘাতের নিহত আতউরের পাশের গ্রাম উদয়পুরে মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রাঘাতে আহত হন গৃহবধূ মঞ্জুয়ারা। আহত সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা হয়েছে।