ঢাকা মেডিকেল থেকে আরেক কথিত চিকিৎসক আটক
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুরাতন ভবনের নাক, কান ও গলা বিভাগ থেকে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা (৩০) নামে এক কথিত নারী চিকিৎসককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা। আজ রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে তাকে আটক করা হয়।
আজ ঢামেক হাসপাতালের আনসারের প্লাটুন কমান্ডার পিসি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে আমাদের টহল টিমের আনসার সদস্যরা নিয়মিত টহল দিচ্ছিলেন। এ সময় পুরাতন ভবনের তৃতীয় তলায় একজন মেডিকেল শিক্ষার্থী জানান, তার নামের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ বহিরাগত আরেক নারী চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পরে ঘোরাফেরা করছেন। এ নিয়ে সন্দেহ হলে আনসার সদস্যরা ওই ওয়ার্ডে কর্মরত চিকিৎসকদের ডেকে অভিযুক্ত নারীকে দেখান। কিন্তু, ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকরা তাকে চেনেন না বলে জানান।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, পরে আনসার সদস্যরা বিষয়টি আমাকে জানালে আমিও অন্য আনসার সদস্যদের সহযোগিতায় অভিযুক্ত নারীকে প্রশাসনিক ভবনে হাসপাতালের পরিচালক এবং উপপরিচালকের কাছে নিয়ে যাই। পরে হাসপাতালের পরিচালক ও উপপরিচালকের পরামর্শ মতে অভিযুক্ত ওই ভুয়া নারী চিকিৎসককে ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুকের কাছে সোপর্দ করা হয়।
অভিযুক্ত পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা গণমাধ্যমকে জানান, তিনি নরসিংদীর মনোহরদী সদরের আরওয়াদিয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে। বর্তমানে বকশিবাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন।
আপনি কেন ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন–জানতে চাইলে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা জানান, পূর্বপরিচিত এক রোগীকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা করাতে এসেছেন।
চিকিৎসকের অ্যাপ্রোন পরিধান করা নিয়ে পাপিয়া আক্তার স্বর্ণা বলেন, আমি একটা ভুল করেছি, ভবিষ্যতে আর এ কাজ করব না।
টেইলার্সের দোকান থেকে অ্যাপ্রোনটি বানিয়েছেন বলে জানান পাপিয়া। পরে আবারও বলেন, আমার ভুল হয়েছে আমি জীবনে আর এ ধরনের অপরাধ করব না।
এ বিষয়ে ঢামেক হাসপাতালে পরিদর্শক ফারুক বলেন, ইতোমধ্যে আমরা বিষয়টি শাহবাগ থানা পুলিশকে জানাই। পরে থানা পুলিশের একটি গাড়ি এলে তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ ডিসেম্বর ঢামেক হাসপাতাল থেকে মুনিয়া খান রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া গাইনি চিকিৎসককে আটক করেছেন আনসার সদস্যরা।