নিজ এলাকায় হারিছ চৌধুরীর দাফন, পেলেন রাষ্ট্রীয় মর্যাদা
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ তাঁর নিজ এলাকায় পুনরায় দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাদ আসর সিলেটের কানাইঘাটে তার বাবার নামে নিজের প্রতিষ্ঠিত শফিকুল হক চৌধুরী মেমোরিয়াল এতিমখানা প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, মরহুম হারিছ চৌধুরী একজন ক্যারিশমাটিক নেতা ছিলেন। তিনি বিএনপির তৃণমূল থেকে শুরু করে দলের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। শুধু তাই নয়, দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্বরত ছিলেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একান্ত রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। তার মধ্যে দেশের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল। তিনি চাইলে দেশ থেকে পালাতে পারতেন কিন্তু তা করেননি। আজ প্রায় তিন বছর পর তার দেহাবশেষ নিজগ্রামে পুনরায় দাফন করা হয়েছে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
এর আগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হারিছ চৌধুরীর দেহাবশেষ সিলেটের শাহী ঈদগাহ ময়দানে আনা হয়। সেখানে নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে দোয়া করা হয়। পরে দেহাবশেষ পুনরায় দাফনের জন্য কানাইঘাটের উদ্দেশ্যে নিয়ে যান নেতাকর্মীরা।
হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিন চৌধুরী বলেন, এমন একটা ঘটনার জন্যে কেউ প্রস্তুত থাকতে পারে না। আমি জানি না আমি এই সময়টা কীভাবে পার করেছি। আমার সঙ্গে আল্লাহ ছিলেন। তার (বাবা) শেষ শব্দ ছিল সে সিলেটের মাটিতে ব্যাক করবে। সে সিলেটের কৃতী সন্তান। তার সে ইচ্ছাটাও আল্লাহ পূরণ করে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরী মারা গেলে ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার পরিচয় গোপন করে অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান নামে সাভারের বিরুলিয়ায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যিন মাদরাসা প্রাঙ্গণে দাফন করা হয়। পরবর্তীতে মেয়ে সামিরার এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের নির্দেশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে মরদেহ উত্তোলন করা হয়। মরদেহ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য সিআইডি নমুনা সংগ্রহ করে এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ টেস্টে মরদেহটি হারিছ চৌধুরীর নিশ্চিত হওয়ার পর পরিবারের পক্ষ থেকে সিলেটে দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।