নির্বাচন নিয়ে মারামারি, পটুয়াখালীতে ১১ আইনজীবীর বিরুদ্ধে মামলা
![](https://publisher.ntvbd.com/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/12/pttuyyaakhaalii.jpg)
পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত আইনজীবীদের মারামারির ঘটনায় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ১১ জন আইনজীবীর নামে পটুয়াখালী সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পটুয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির আলহাজ অ্যাডভোকেট মো. নাজমুল আহসানসহ ৮ আইনজীবীকে সাক্ষী করে পটুয়াখালী জেলা জজ আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. রুহুল আমীন সিকদার (৫) বাদী হয়ে বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন মো. মাহবুবুর রহমান সুজন (৩৯), মো. মিজানুর রহমান (৩৮), মিজান মাস্টার (৪৮), এসএম তৌফিক হোসেন মুন্না (৪১), মো. আরিফ হোসেন (৪৫), মো. সাহাবুদ্দিন (সাবু) (৪৪), মো. আরিফুর রহমান রিয়াজ (৪৪), মো. নাজমুল আহসান মুন্না (৪৮), মো. মজিবুল হক বিশ্বাস রানা (৪২), শরীফ মো. সালাহউদ্দিন, মো. ইমরান হোসেন বাদল (৪০), মো. আবু জাফর খান (৫০)। আসামিরা সকলেই পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সক্রিয় সদস্য।
পটুয়াখালী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইমতিয়াজ আহমেদ মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন (মামলা নং ২৬)।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ‘জেলা আইনজীবী সমিতি, পটুয়াখালীর কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচন ২০২৫-২০২৬ এ আগ্রহী প্রার্থীদের টাকা দাখিল, মনোনয়ন ফরম ক্রয়, মনোনয়ন ফরম জমা প্রদানের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি তারিখ ধার্য ছিল। নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল, পটুয়াখালীর পক্ষে সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, লাইব্রেরি সম্পাদক, ক্রীড়া সম্পাদক ও সদস্য পদে বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামের প্যানেলের বিজ্ঞ আইনজীবীগণ মনোনয়ন ফরম ক্রয় করতে যান। মামলার ৭নং সাক্ষী অ্যাডভোকেট মো. মহিউদ্দিন (৪), সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার লক্ষ্যে নির্ধারিত টাকা জমা প্রদান করে ফরম কিনতে যান। উক্ত পদে তার শতভাগ জয়ের সম্ভাবনা থাকায় বিএনপি তথা জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সমর্থিত প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৯নং আসামি শরীফ মো. সালাহউদ্দিনসহ অন্যান্য আসামিগণ তাকে ফরম কিনতে বাধা দেন এবং এক পর্যায়ে বাদীকে খুনের উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা চালায়।
বিষয়টি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলে সম্প্রচার হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ বিষয় জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হোসেন তপন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। আমরা জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট নাজমুল আহসানের সাথে কথা বলে একটা মীমাংসা করে দিয়েছি। তবে এরপরও মামলা হবে এমনটা প্রত্যাশিত ছিল না। বিষয়টি নিয়ে আমরা বিব্রত বোধ করছি।”