ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘিরে হামলার ঘটনায় আজকের কর্মসূচি স্থগিত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়কদের উদ্যোগে নতুন ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আত্মপ্রকাশ ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে দেওয়া আজকের বিক্ষোভ কর্মসূচি স্থগিত করেছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ করা হলো। সুযোগ সন্ধানীদের তৎপরতা সবার কল্পনাতীত! দেশের ও জনগণের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আজকের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
এর আগে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার প্রতিবাদে আজ বৃহস্পতিবার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। তাতেও হামলাকারীদের বিষয়ে কোনো সুরাহা যদি না হয়, তাহলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা ব্লকেড’র হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, গতকাল বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে নেতৃত্বে দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক এম জে এইচ মঞ্জু এই হুঁশিয়ারি দেন। তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশ অর্জনে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল। নতুন বাংলাদেশে কেউ তাদের গায়ে হাত দেবে, এটা তারা মানতে পারেন না। অথচ নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশের সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হলো। নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিতও করা হয়েছে।
হামলাকারীদের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন এম জে এইচ মঞ্জু। হামলায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আটজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, হামলার বিচারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। তাতেও হামলাকারীদের বিষয়ে কোনো সুরাহা যদি না হয়, তাহলে ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘ঢাকা ব্লকেড’ করা হবে।
গত এক সপ্তাহ থেকে সমন্বয়ক রিফাত রশীদকে সদস্যসচিব করার দাবিতে সরব ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতারা। সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি দিয়েছিলেন রিফাত রশীদ। এর সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক নাঈম আবেদীনকে মুখ্য সংগঠক করার পক্ষে ছিলেন তারা। তবে এদের কেউই শীর্ষ পদে জায়গা পাননি। এর ফলেই বাধে বিপত্তি।
এর ফলশ্রুতিতে বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে নতুন ছাত্রসংগঠনের আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রাইভেটের একদল শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে এসে প্রতিবাদী স্লোগান দিতে থাকেন। তারা ‘ঢাবির সিন্ডিকেট মানি না মানবো না’, ‘রিফাত রশীদ ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’, ‘রিফাত রশীদ এগিয়ে চলো, আমরা আছি তোমার সাথে’—ইত্যাদি স্লোগান দেন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগ্ম আহ্বায়ক ইস্টওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্রী শাহজাদী বলেন, প্রাইভেটের কাউকে রাখা হয়নি। আমরা অন্তত রিফাত রশীদকে চেয়েছিলাম। রিফাত রশীদকে সব জায়গায় বঞ্চিত করা হয়েছে। এখানে ঢাবিয়ানদের স্বৈরাচারমূলক কমিটি আমরা মেনে নিব না।