সড়ক অবরোধে ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ বন্ধ
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ (শেবাচিম) সারা দেশের সরকারি হাসপাতালগুলোতে অব্যবস্থাপনা, রোগীদের হয়রানি ও স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ছাত্র-জনতা অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে।
আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হওয়া এই কর্মসূচি এখনো চলছে। এতে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ৬ জেলার সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে।
জানা গেছে, নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল সংলগ্ন মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। ফলে দুই পাশে অসংখ্য যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী যানবাহন আটকে পড়ে। এতে করে সৃষ্টি হয় চরম ভোগান্তি। স্বাস্থ্যখাতে অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে গত ১২ দিন ধরে বরিশালের বান্দ রোড ও সদর রোড এলাকায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি চালিয়ে আসছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ। কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপ না আসায় এবার তারা বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক অবরোধে নামে।
আন্দোলনের প্রধান সংগঠক মহিউদ্দিন রনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে সিন্ডিকেটের কারণে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। স্বাস্থ্যখাতের এই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে। ১০ দিন আন্দোলন করেও সাড়া না পেয়ে আজ শুক্রবার বাধ্য হয়েই আমরা রাস্তা ব্লক করেছি। মন্ত্রণালয় বরিশালের কথা শুনছে না, এটা আর চলতে দেওয়া হবে না।
আরেক আন্দোলনকারী ব্লগার কাফি বলেন, স্বাস্থ্যখাতে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। এই আন্দোলন শুধু বরিশালের নয়, দেশের প্রতিটি মানুষের অধিকার আদায়ের আন্দোলন।
এই আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, সরকারি ব্রজমোহন কলেজ, হাতেম আলী কলেজ, বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগী রোগী ও স্বজনরাও একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।
অবরোধের কারণে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা। ঢাকা থেকে বরিশাল পর্যন্ত নির্বিঘ্নে এসে নথুল্লাবাদে আটকে পড়া এক যাত্রী বলেন, ‘ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে আছি। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দাবি যতই যৌক্তিক হোক না কেন, জনদুর্ভোগ যেন না হয়, সে বিষয়ে আন্দোলনকারীদের আরও কৌশলী হওয়া দরকার।

আকতার ফারুক শাহিন, বরিশাল