রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে জুলাই সনদে যা আছে

জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনুষ্ঠানে জুলাই সনদ স্বাক্ষর করা হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য এবং বিএনপি-জামায়াতসহ দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা অংশ নেন।
জুলাই জাতীয় সনদে ঐকমত্যের ঘোষণায় বলা হয়, জাতীয় ঐকমত্য কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও জোটের সঙ্গে পারস্পরিক আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে আমরা অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দল ও জোটের প্রতিনিধিরা স্ব স্ব দলের পক্ষ থেকে—বিদ্যমান শাসন ব্যবস্থা তথা সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা, জনপ্রশাসন, পুলিশি ব্যবস্থা ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে নিম্নলিখিত কাঠামোগত, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক পরিবর্তনের ব্যাপারে ঐকমত্যে উপনীত হয়েছি। এসব বিষয়কে এই জাতীয় সনদে (কিছু বিষয়ে ভিন্নমতসহ) সন্নিবেশিত করতে সম্মত হয়েছি। একইসঙ্গে ২০০৯ সাল পরবর্তী ১৬ বছরে ফ্যাসিবাদ-বিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের বীর শহীদ ও আহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ, গ্রেপ্তার ও কারাবরণকারীদের প্রতি সহমর্মিতা এবং উক্ত গণঅভ্যুত্থানে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণকারীদের প্রতি কৃতজ্ঞতার স্মারক হিসেবে আমরা এই সনদকে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ হিসেবে ঘোষণা করছি।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি নিয়ে জুলাই সনদে বলা হয়—
মূলনীতি : সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সম্প্রীতি’ উল্লেখ থাকবে।
সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও মর্যাদা : সংবিধানে এরূপ যুক্ত করা হবে, বাংলাদেশ একটি বহু-জাতি-গোষ্ঠী, বহু-ধর্মী, বহু-ভাষী ও বহু-সংস্কৃতির দেশ যেখানে সকল সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করা হবে।
মৌলিক অধিকারসমূহের তালিকা সম্প্রসারণ : নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ, সেগুলোর সুরক্ষা এবং বাস্তবায়নে সাংবিধানিক ও আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নাগরিকের মৌলিক অধিকার সম্প্রসারণ সংক্রান্ত বিস্তারিত প্রস্তাবগুলো জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের রিপোর্টে উল্লেখ করা হবে, যাতে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেন এবং ভবিষ্যতে জনপ্রতিনিধিরা সাংবিধানিক ব্যবস্থা ও আইনি বিধানাবলি পরিবর্তন করতে পারেন।