শীতের আগেই রাজবাড়ীর মাঠে সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
শীত মৌসুমের শুরুতেই রাজবাড়ী জেলার হাট-বাজারে আগাম শীতকালীন সবজিতে ভরে উঠেছে। ভালো দামের আশায় কৃষকেরা হাড়ভাঙা খাটুনি খেটে বেশি বেশি সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, এ বছর রাজবাড়ীতে ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শিম, মিষ্টিকুমড়া, টমেটো ও বরবটি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ প্রান্তিক কৃষকদের শীতকালীন সবজি আবাদের জন্য সহযোগিতা করে আসছে। ইতোমধ্যেই রবি মৌসুমের প্রণোদনার আওতায় ২০ হাজার কৃষকের মধ্যে ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ২০০ টাকার সার ও বীজ প্রদান করেছে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। যার মধ্যে ছিল ১ কেজি করে সরিষা বীজ, ১ কেজি সূর্যমুখী, ১০ কেজি চিনা বাদাম, ১ কেজি পেঁয়াজ, ৫ কেজি মসুর ও ৮ কেজি খেসারির বীজ।
প্রান্তিক কৃষকেরা এবার শীত মৌসুমের আগেই ফুলকপি, মুলা, বাঁধাকপি, পটল, শিম, টমেটো, করলা, বেগুন, ধনিয়া, লাউ, ধুন্দুলসহ নানা জাতের সবজি চাষ শুরু করেছেন। চারা রোপণ এবং গাছে আসা ফুল ও ফলের পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।
পদ্মার চরের সদর উপজেলার মিজানপুর, উড়াকান্দা, রামকান্তপুর, সুলতানপুর ও মূলঘর ইউনিয়নের কৃষক রওশন আলীর সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, পুরো শীত মৌসুমে সবজির অধিক দাম পাওয়া যায়। কারণ বর্ষা মৌসুমের পরে সবজির বাজার চড়া থাকে। সে কারণে সচেতন কৃষকেরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে সবজি চাষে মনযোগী থাকেন। তাই ফলন ভালো হয় এবং সবজি বিক্রি করে দামও ভালো পাওয়া যায়।
জৌকুরার কৃষক মিলন জানান, সবজি চাষে তার সংসারে সফলতা এসেছে। তিনি বলেন, তার সবজি নিয়ে বাজারে যেতে হয় না, পাইকারেরা ক্ষেত থেকেই ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যায়।
রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক ড. মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে শীতকালীন সবজি আবাদের জন্য ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ৩ হাজার ১০০ হেক্টরে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। প্রান্তিক কৃষকদের শীতকালীন সবজি আবাদে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সহযোগিতা করে আসছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ইতোমধ্যেই ২০ হাজার কৃষককে রবি মৌসুমের প্রণোদনার আওতায় ৩ কোটি ৪৫ লাখ ৩ হাজার ২০০ টাকার সার ও বীজ প্রদান করেছে।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)