শেখ হাসিনার রায়ে সন্তুষ্ট নয় দুদক
আলোচিত প্লট দুর্নীতির ছয়টি মামলার মধ্যে শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এতে শেখ হাসিনাকে তিন মামলায় সাত বছর করে মোট ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের পরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি খান মো. মাইনুল হাসান লিপন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, “আমরা সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। কিন্তু আসামি শেখ হাসিনাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
পিপি বলেন, আইনের এই মামলায় সর্বোচ্চ কারাদণ্ড যাবজ্জীবন ছিল। কিন্তু আদালত দণ্ডবিধির ৪২০ ও দুদক আইনের ৫(২) ধারায় কারাদণ্ড দিয়েছেন।
চলতি বছরের ১০ মার্চ আদালতে প্লট দুর্নীতি মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সরকারিভাবে বরাদ্দ পাওয়া সুধা সদনের তথ্য গোপন, রাজউকের নির্ধারিত ফরমে আবেদন না করা, হলফনামায় অসম্পূর্ণ তথ্য দাখিলের পরও অবিশ্বাস্য দ্রুততায় রাজধানীর নতুন শহর পূর্বাচলের ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন জুলাই অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু তাই নয়, দুই সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক, বোনের দুই সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকের নামেও বাগিয়ে নেন আরও ৫০ কাঠার প্লট। দীর্ঘ ১৫ বছরের শাসনামলে একাধিকবার ‘রিক্ত আমি, নিঃস্ব আমি, দেবার কিছু নাই….’ বললেও রাষ্ট্রের লক্ষ কোটি টাকা অর্থ হাতিয়ে নেওয়া হাসিনা পরিবার পূর্বাচলে ৬০ কাঠা প্লটের লোভও সামলাতে পারেননি। এই দুর্নীতিতে শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেন শেখ রেহানার মেয়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক।
শেখ রেহানা, রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে অপর তিনটি মামলায় রায় ঘোষণার দিন ধার্য্য হয়েছে আগামী সোমবার (১ ডিসেম্বর)। প্লট বরাদ্দ পাওয়া এই ছয়জন ছাড়াও মোট ৪৭ জনকে এই ছয়টি মামলায় আসামি করা হয়েছে। রাজউকের কর্মকর্তা খুরশীদ আলম ছাড়া বাকি সব আসামি বর্তমানে পলাতক আছেন।

নিজস্ব প্রতিবেদক