সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) চিকিৎসকদের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।

শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিনগত রাত ২টা আট মিনিটে বিএনপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটময় : মির্জা ফখরুল

‘বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য আপডেট’ শীর্ষক ওই ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে সিসিইউতে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ধারাবাহিক পর্যবেক্ষণে চিকিৎসাধীন।

আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে দায়িত্বশীলতা বজায় রেখে যাচাই-বাছাই ছাড়া কোনো তথ্য প্রচার না করার জন্য সবার কাছে বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হচ্ছে। বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া অব্যাহত রাখুন।

গত রোববার (২৩ নভেম্বর) খালেদা জিয়ার অনেক শ্বাসকষ্ট শুরু হলে দ্রুত তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) নেওয়া হয়। দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে।  

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। খালেদা জিয়ার অসুস্থতার খবরে হাসপাতালে ছুটে যান দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। 

গতকাল শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) গভীর রাতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে সিসিইউতে চিকিৎসাধীন বেগম খালেদা জিয়াকে দেখতে যান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি জানান, বেগম খালেদা জিয়ার জ্ঞান থাকলেও তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, ম্যাডামের জ্ঞান আছে, তিনি আমাদের চিনতে পেরেছেন এবং আমাদের সালামের উত্তর দিয়েছেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ওঠানামা করছে—এই ভালো থাকে, এই খারাপ থাকে। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই মুহূর্তে উনি স্থিতিশীল নন। আরও উন্নত চিকিৎসা পেলে হয়তো ভালো থাকতে পারেন।  

এদিকে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থার বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি নিয়মিতভাবে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অগ্রগতি সম্পর্কে খোঁজখবর রাখছেন এবং প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসাসুবিধা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।

৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন। তার বড় ছেলে তারেক রহমান ফেসবুকে এক পোস্টে বলেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ ও সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যায় রয়েছেন। সর্বজন শ্রদ্ধেয়া বেগম খালেদা জিয়ার জন্য সবার আন্তরিক দোয়া ও ভালোবাসা প্রদর্শন করায় জিয়া পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ ও গভীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। একইসঙ্গে জিয়া পরিবার বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তির জন্য সবার প্রতি দোয়া অব্যাহত রাখার ঐকান্তিক অনুরোধ জানাচ্ছি।