দুই পক্ষের সংঘর্ষ ছাত্রদলের কর্মী নিহত
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের বারইয়ারহাট পৌর বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষের পর ধারাল অস্ত্রের আঘাতে ছাত্রদলের এক কর্মী নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছে আরও ১৫ থেকে ২০ জন। বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ১২ টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় গাজী তাহমিদের।
নিহত তাহমিদ ছাত্রদলের কর্মী। তাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপের আঘাতে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজির নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। পরে নেতকর্মীরা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা করলে বেশ কয়েকজন আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে একজনের মৃত্যু হয়। নিহত হাফেজ গাজী তাহমিদ খান (২৩)। তিনি ইসলামী ছাত্র আন্দোলন জোরারগঞ্জ থানা শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলে যোগ দেন।
সূত্র জানায়, ধারাল অস্ত্র হামলায় আহতদের মধ্যে স্থানীয় বিএনপি নেতা মোজাম্মেল হোসেনের একটা কান বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অন্যান্য কয়েকজনের মধ্যে কারও কেটেছে হাত-পা, কারও ফেটেছে মাথা এবং অনেকের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারাল অস্ত্রের আঘাতসহ লাঠির আঘাত রয়েছে। প্রথমে মারাত্মক রক্তাক্ত আহতাবস্থায় তাহমিদকে স্থানীয় বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে দায়িত্বরত ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত প্রায় পৌনে ১ টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
অন্যদিকে অন্যান্য আহতরা বারইয়ারহাট জেনারেল হাসপাতাল, বি এম হাসপাতাল, বারইয়ারহাট মেডিকেল সেন্টার ও কমফোর্ট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে, গুরুতর অবস্থায় চার থেকে পাঁচজনকে মীরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মস্তাননগর সরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয় জোরারগঞ্জ থানা (বারইয়ারহাট পৌরসভা বাজারে অবস্থিত) থেকে কিছুক্ষণ পর পুলিশ গিয়ে অবস্থান নেয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এলাকায় পরিস্থিতি থমথমে অবস্থায় রয়েছে।
তবে এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি জোরারগঞ্জ থানা পুলিশ। নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওসি কাজী নাজমুল হক।
ওসি নাজমুল হক বলেন, গত কয়েকদিন আগে তাদের দুই পক্ষের মধ্যে কিছু একটা নিয়ে ঝামেলা হয়েছিল। গতকাল সন্ধ্যায় সেটা সমাধান করার জন্য বৈঠক বসেছিল। সেখানে জুনিয়র একজনের পা তুলে বসাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে সেটা মারামারিতে রূপ নেয়।

আরিচ আহমেদ শাহ, চট্টগ্রাম