কমলগঞ্জে শিক্ষা উপকরণ পেল মেধাবী শিক্ষার্থীরা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের বাঘবাড়ী যুব ও ক্রীড়া সমাজকল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে স্থানীয় দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ ও পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার বাঘবাড়ী মণ্ডপ প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শতাধিক শিক্ষার্থীর হাতে খাতা, কলম, পেনসিলসহ বিভিন্ন শিক্ষা সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের জন্য আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝেও পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসহাবুজ্জামান শাওন। সংস্থার উপদেষ্টা পরীক্ষিত সিংহের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য প্রশান্ত সিংহের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাধবপুর মণিপুরি ললিতকলা একাডেমির উপ-পরিচালক প্রভাস চন্দ্র সিংহ, কমলগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি পিন্টু দেবনাথ, সাংবাদিক সালাহউদ্দিন শুভ, মোনায়েম খান, আব্দুল মুমিনসহ সংগঠনের উপদেষ্টা রাজেন্দ্র সিংহ, খুলেন্দ্র সিংহ, নবকিশোর সিংহ ও বিজিত সিংহ প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আসহাবুজ্জামান শাওন বলেন, একটি শিক্ষিত জাতি গঠনে শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের সবার নৈতিক দায়িত্ব। বাঘবাড়ী যুব ও ক্রীড়া সমাজ কল্যাণ সংস্থার এই উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয় এবং সমাজের জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। এই শিক্ষা উপকরণ বিতরণ কার্যক্রম দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহিত করবে। এ সময় তিনি সংস্থার কল্যাণমূলক কার্যক্রমে সহায়তাস্বরূপ ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র খেলাধুলা বা বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে সংস্থাটি যেভাবে সামাজিক ও শিক্ষামূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হচ্ছে, তা এলাকার যুবসমাজের জন্য একটি ইতিবাচক বার্তা। তারা সমাজের বিত্তবানদের এ ধরনের জনকল্যাণমূলক কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
শিক্ষা উপকরণ ও পুরস্কার পেয়ে শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা আনন্দ প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠান শেষে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়, আগামীতেও তাদের এই শিক্ষামূলক ও সামাজিক কার্যক্রম ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত থাকবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, এলাকার প্রবীণ মুরব্বি ও প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

আহাদ মিয়া, মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ)