নেত্রকোনা-৩
প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় অস্ত্র বহনের নির্দেশ আ.লীগনেতার
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের কর্মীসমর্থকদের মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মীদের অস্ত্র নিয়ে নির্বাচনি প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা। তার নাম মো. সঞ্জু মিয়া। তিনি গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান। নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসনের নৌকার প্রার্থী অসীম কুমার উকিলের এই সমর্থক গতকাল মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকালে কেন্দুয়া উপজেলার গন্ডা বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের এ নির্দেশ দেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মো. সঞ্জু মিয়া এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘আমার এমন কোনো বক্তব্য নেই।’ ভিডিওটি এনটিভি অনলাইনের কাছে সংরক্ষিত আছে জানালে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘ও, আমার মনে পড়েছে। এটা আরও দুই মাস আগের। তখন বিএনপি-জামায়াতের উদ্দেশে পার্টি অফিসে বক্তব্য দিতে গিয়ে বলেছিলাম যে—আমার কাছে এটা আছে, আপনারও রাখতে পারেন নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য।’
আত্মরক্ষার জন্য কেউ লাইসেন্স ছাড়া অস্ত্র রাখতে পারে কি না জানতে চাইলে মো সঞ্জু বলেন, ‘বিষয়টা খুবই ছোট, মজার ছলে বলেছি।’
ভিডিও তে দেখা যায় গন্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান মো. সঞ্জু মিয়া বলছেন, ‘…আপনাদের যার কাছে যা কিছু আছে তাই নিয়ে উপস্থিত হবেন। আমিও কিন্তু ছোডখাডো একটা লইছি। যার যা কিছু আছে তাই লইয়া মোকাবিলাডা করবাইন। যুবলীগ, ছাত্রলীগ পার্টির সবাই যারা আছে, সবাইকে ধন্যবাদ দেই। কালকে থাইক্যা সহাল ৯ ডার সময় ওয়ার্ডের সভাপতি-সেক্রেটারি যারা আছেন, দয়া কইরা আল্লার অস্তে কেন্দ্রে একজন কইরা মানুষ থাকবে, একটা কইরা রাম-দা। আইয়্যা কইবেন গাড়ি নাইক্যা, তা অইতো না। অয়লে কিনবেন নয়লে ভাড়া করবেন, নয়লে পয়দা করবেন। আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ সবাইরই গাড়ি আছে। গাড়ি লইবেন, সাথে একজন লোক লইবেন, হেলমেট পরবেন, রাম-দা লইবেন, বঙ্গবন্ধুর সেই নির্দেশ, যার কাছে যা আছে, সেইডাই নিবেন। লইয়া আপনারা মুভ করবেন।’
কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিঞার কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি এবং অভিযোগও পেয়েছি। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছি।’