এক লাখ লাইক, ভিউ এক কোটি
এনটিভিতে গত ২ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে ধারাবাহিক নাটক ‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’। নাটকটি প্রতি সপ্তাহের মঙ্গল, বুধ ও বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০ মিনিটে প্রচারিত হচ্ছে।
সেই সঙ্গে নাটকটি টিভিতে প্রচারের পর পরই এনটিভির অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলেও আপলোড করা হচ্ছে। নাটকটি থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এর পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ ও কলাকুশলীরা।
সম্প্রতি নাটকটির অংশ বিশেষের একটি ভিডিও এনটিভি এন্টারটেইনমেন্টের অফিশিয়াল পেজে আপলোডের পর দারুণ সাড়া পেয়েছেন এর অভিনয়শিল্পী মনিরা মিঠু ও সোহেল খান। যেখানে এনটিভি এন্টারটেইনমেন্টের পেজের লাইক এক লাখ অথচ সেই পেজে আপলোড করা ভিডিওতে লাইক পড়েছে এক কোটি। আর এনটিভির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে এটাই কোন ভিডিও যেটাতে প্রথম এক কোটি ভিউ হয়েছে।
ভিডিওর শিরোনাম ছিল ‘বাড়িওয়ালাকে দারোয়ান ভেবে এ কী কাণ্ড!’ তিন মিনিট ৫৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে দেখা যায় মনিরা মিঠু ঢাকায় আসে তাঁর ভাগ্নে শহীদুজ্জামান সেলিমের বাসায়। বাড়ির গেটে প্রবেশ করতে বাড়িওয়ালা সোহেল খানকে দারোয়ান ভেবে কথা বলে মনিরা মিঠু।
ভিডিওট দর্শক পছন্দ করায় খুশি হয়েছেন পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ। বললেন, ‘এটা আমাদের জন্য আনন্দের খবর। নাটকের শিল্পীরা অনেক যত্নসহকারে এর শুটিং করছেন। নাটকটি প্রচারের পর থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি আমি এবং আমি বিশ্বাস করি এখনো অগনিত দর্শক নাটক দেখেন। সত্যি কথা বলতে নাটকটি প্রচার শুরুর আগেই আমি ধারণা করেছিলাম এটা জনপ্রিয় হবে। কারণ গল্পটাই খুব সুন্দর।’
মারুফ রেহমানের রচনায় তারকাবহুল নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, শর্মিলী আহমেদ, মুনিরা ইউসুফ মেমী, রোজী সিদ্দিকী, মনিরা আক্তার মিঠু, শবনম ফারিয়া, রুনা খান, সোহেল খান, মুকিত জাকারিয়া, ডিকন নূর, শামীম হাসান সরকার, তামিম মৃধা, আফরিন শেখ রাইসা, সারিকা সাবা, সৌমিক, মিথিলা, রিয়া প্রমুখ।
নির্মাতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, ‘একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সংকট, সুখ-দুঃখের গল্প নিয়ে এই নাটক। পরিপূর্ণ পারিবারিক গল্পের নাটক এটি।’
‘ফ্যামিলি ক্রাইসিস’-এর গল্পে দেখা যায়, একটি যৌথ পরিবারের গল্প নিয়ে এই নাটক। মধ্যবিত্ত এ পরিবারে আছে গৃহকর্তা, তার স্ত্রী, তাদের একমাত্র সন্তান, বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ভাই, এক বোন আর তাদের মা। এই পরিবারে একটা ফুরোতেই আরেকটার প্রয়োজন শুরু হয়। তারা যেমন সুখে হাসে, তেমনি বাসা বাঁধে দুঃখও। স্কুলজীবনে হেঁটে বাসায় আসা, ভাঙা ফোনে ফেসবুক চালানো, এমন সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বেড়ে ওঠা গৃহকর্তাকে হিমশিম খেতে হয় সংসারজীবনেও। তাদের জীবনে যেমন আছে না পাওয়ার বেদনা, তেমনি আছে মিষ্টি একটু ভালোবাসা, হাসি-কান্না, স্বপ্ন। তারা স্বপ্ন দেখে এমন একটা জীবনের, যে জীবন দোয়েলের, ফড়িংয়ের।