‘আরশিনগর’ নিয়ে আসছেন রুমি
ক্লোজআপ ওয়ান তারকা সংগীতশিল্পী রুমি আলম দীর্ঘ নয় বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ছিলেন। ছয় মাস হলো দেশে স্থায়ীভাবে থাকার জন্য ফিরেছেন তিনি। নতুন গানের অ্যালবাম বের করার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন তিনি। আসছে গানের অ্যালবাম ও অন্যান্য প্রসঙ্গ নিয়ে এনটিভি অনলাইনের সঙ্গে কথা বলেছেন রুমি।
প্রশ্ন : শুনলাম ‘আরশিনগর’ শিরোনামে গানের অ্যালবাম করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন?
উত্তর : হ্যাঁ, এখন এই অ্যালবামের কাজ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছি। আমার মেয়ের নাম আলিনা আরশি। নিউইয়র্কে থাকার সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দেশে ফিরলে আরশি নাম দিয়েই অ্যালবাম বের করব। এখন সেটা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করছি। আমার কাছে ৪০টির মতো গান আছে। রংপুর টাউন হলে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার সময় মূলত গানগুলো লেখা হয়েছিল। সেটা অনেকদিন আগের কথা। কিছু গান আমি লিখেছি আর কিছু গান বন্ধুরা লিখেছে। একটা সময় গান প্রচুর লিখতাম। এখন আর হয় না। আরশিনগর অ্যালবামে ১৪টি গান রাখার প্রস্তুতি নিচ্ছি। একটা দ্বৈত গানও থাকবে।
প্রশ্ন : আপনি সাধারণত সুফি গান বেশি গান। এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের সুফি গানের প্রতি আগ্রহ কেমন দেখেন?
উত্তর : ব্যান্ডসংগীত, লালন, বাউল, আধুনিক সব ধরনের গান আমাদের দেশে অনেক বেশি হয়। কিন্তু আপনি খেয়াল করে দেখবেন সুফি গান মানে দেহতাত্ত্বিক গানগুলো খুব কম হয়। ব্যক্তিগতভাবে সুফি গানের প্রতি আমার দুর্বলতা রয়েছে। আর কনসার্টে কিংবা টিভি লাইভে আমি সুফি গান করলে তরুণ শ্রোতাদের কাছ থেকে অনেক সাড়া পাই। এ থেকে বুঝতে পারি তরুণদের সুফি গানের প্রতি ব্যাপক আগ্রহ আছে।
প্রশ্ন : আপনি তো গান গাওয়ার পাশাপাশি মডেলিং ও নাটকেও অভিনয় করেছেন। অভিনয়ে ফেরার ইচ্ছে আছে কি?
উত্তর : গানকে সবার আগে আমি প্রাধান্য দিই। দেশে ফেরার পর আগে যেসব পরিচালক আমার কাজ দেখেছেন তাঁদের মধ্যে অনেকেই আমাকে নাটকে অভিনয় করার কথা বলেছেন। কথাবার্তা চলছে। এখন গান চর্চা করার পাশাপাশি যতটুকু সময় পাব ঠিক ততটুকু সময় মডেলিং কিংবা অভিনয়ে দেব।
প্রশ্ন : নিউইয়র্কে থাকার সময় দেশের টিভি অনুষ্ঠানগুলো কি দেখা হতো?
উত্তর : অনেক বেশি দেখা হতো। সব সময় দেশকে মিস করতাম।

নাইস নূর