শিল্পী সফিউল আলম রাজা সুস্থ আছেন
ভাওয়াইয়া শিল্পী সফিউল আলম রাজা বেঁচে আছেন, সুস্থ আছেন। গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে কে বা কারা স্ট্যাটাসের মাধ্যমে গুজব রটায়, সফিউল আলম রাজা মারা গেছেন। এরপর থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ভক্ত ও শুভানুধ্যায়ীরা অসংখ্যবার ফোন করে তাঁর অবস্থা জানতে চেয়েছেন। এছাড়া অনেকেই উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছেন।
সফিউল আলম রাজা এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘সকাল থেকে এখন পর্যন্ত আমার শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তরা অনবরত ফোন করছেন। অনেকেই আমার সাথে কথা না বলা পর্যন্ত বিশ্বাসই করতে চাইছেন না যে আমি বেঁচে আছি কি না। আল্লাহর রহমতে আমি বেঁচে আছি, সুস্থ আছি এবং আমার কোনো সমস্যা হয়নি।’
রাজা তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী ও ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা আমার জন্য শুধু মন থেকে দোয়া করবেন-আমি যেন দীর্ঘদিন সুস্থ ভাবে বেঁচে থাকতে পারি। সেই সাথে আপনাদের যেন অনেক সুন্দর তথা হৃদয় ছোঁয়া ভাওয়াইয়া গান উপহার দিতে পারি।’
ওস্তাদ নুরুল ইসলাম জাহিদের কাছে সংগীতের তাত্ত্বিক বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করেন রাজা। তিনি বাংলাদেশ বেতারের ‘বিশেষ’ এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘প্রথম’ গ্রেডের শিল্পী।
শিল্পী জীবনের স্বীকৃতি হিসেবে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন আয়োজিত বেঙ্গল বিকাশ প্রতিভা অন্বেষণে লোকসঙ্গীতে (ভাওয়াইয়া গান নিয়ে) সারাদেশে শ্রেষ্ঠমান বিজয়ী নির্বাচিত হন রাজা। বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে রাজার একটি মিক্সড অ্যালবাম এবং ভায়োলিন মিডিয়া থেকে একক অ্যালবাম ‘কবর দেখিয়া যান’ প্রকাশিত হয়েছে। ভাওয়াইয়ার প্রচার-প্রসারে রাজা ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভাওয়াইয়া গানের দল’।
২০১১ সালে রাজধানীতে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ভাওয়াইয়া স্কুল’। তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘উত্তরের সুরে’ প্লেব্যাক করেছেন। রাজা একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক। দীর্ঘ ২৪ বছরের সাংবাদিকতা জীবনে প্রায় ১৪ বছরের বেশি সময় দৈনিক যুগান্তরে কাজ করেছেন। সাংবাদিকতায়ও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন তিনি।

অনলাইন ডেস্ক