অতিরিক্ত আপেল খেলে কী হয়
কথায় আছে, প্রতিদিন একটি আপেল চিকিৎসক থেকে দূরে রাখে। আপেলের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। আপেল দৃষ্টিনন্দন ফল। বাচ্চা থেকে বড়রা সবাই আপেল পছন্দ করে।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে আপেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান। তিনি বলেন, আপেলে পেকটিন নামক একটি এডিকোয়েট ওয়াটার সলিউবল ফাইবার থাকে, যেটা আমাদের শরীরে খুব উপকারে আসে। আমরা জানি, আঁশ হজমে সহায়তা করে। পাশাপাশি বাউয়েল মুভমেন্টকে খুব বেশি সহায়তা করে এবং এটা আমাদের ভালো কোলেস্টেরলকে বাড়িয়ে দেয়। হাইপারটেনশনের সমস্যার অনেকাংশ কমায়। পাশাপাশি মনে রাখতে হবে, এই আঁশ কিন্তু খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না। উপকারী যেকোনো জিনিস অতিরিক্ত হলে সেটি নেতিবাচক হয়ে যায়।
পুষ্টিবিদ ইসরাত জাহান বলেন, আপেল ভিটামিন সি-তে ভরপুর একটি ফল। ভিটামিন সি কিন্তু অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট; আমাদের শরীরে প্রতিনিয়ত ফ্রি রেডিক্যালস তৈরি হয়, যেগুলো বিভিন্ন অসুখ হতে সাহায্য করে, এমনকি ক্যানসারও বাসা বাঁধে। আপেল এই ফ্রি রেডিক্যালস দূর করে আমাদের সতেজ ও সুস্থ থাকতে সাহায্য করে।
তবে খেয়াল রাখতে হবে, আপেলের উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতাও আছে। বেশি পরিমাণে আপেল কখনো খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে আপেলের জুস অ্যাসিডিক, বেশি আপেল গ্রহণ করলে শরীরের এনামেলটা নষ্ট হয়ে যাবে। যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, আপেল বেশি খেলে তাদের গ্যাস হবে, ব্লটিং ভাব হবে, অস্বস্তি হতে পারে, বুক চাপ চাপ ব্যথাও হতে পারে। খেয়াল রাখতে হবে, যতটুকুই খাই, পরিমাণমতো খাব, ভালো খাবার খাব এবং ভালো থাকব।