খাটো হওয়ার পেছনে কী কারণ জড়িত?
শিশু কেন অন্যদের তুলনায় খাটো হবে? এই প্রশ্ন অনেকের মনে ভিড় করে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে শিশুর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার নিয়ে কথা বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের এন্ড্রোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে কেন একটি শিশু অন্যদের চেয়ে খাটো হবে। প্রথমে বলে রাখি পারিবারিক ব্যাপার, বাবা-মা যদি খাটো হয়, তাহলে শিশুরও খাটো হওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি থাকে। যাদের বাবা-মা লম্বা, তাদের বাচ্চারা লম্বা হবে, এটা ধরে নেওয়া যায়; ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তা-ই হয়। আর যাদের বাবা-মা খাটো, তাদের বাচ্চারাও খাটো হবে, এটাও ৯০ শতাংশ ধরে নেওয়া হয়। একটি ক্যালকুলেশন আছে, বাবা-মায়ের উচ্চতা যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করি আমরা এবং তা থেকে ১৩ সেন্টিমিটার যদি আমরা বিয়োগ করি, তাহলে আমরা মেয়েশিশুর ফাইনাল হাইট আমরা প্রেডিক্ট করতে পারি। ছেলেশিশু যদি হয় তাহলে বাবা-মায়ের হাইটকে যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করে ১৩ সেন্টিমিটার আমরা যোগ করি। তাতে আমরা বুঝতে পারি। এটা বংশগত।
ডা. ইন্দ্রজিৎ প্রসাদ আরও বলেন, আরেকটা অজানা কারণে অনেক সময় হয়। আর বাকি থাকে হরমোনের ঘাটতি এবং নিউট্রিশন, যেটা আমরা বলি পুষ্টিহীনতা। বাংলাদেশে পুষ্টির অভাব যে এত দিন ছিল, সরকারের উদ্যোগে ও আমাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কারণে অপুষ্টির সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। যেহেতু অপুষ্টির সংখ্যা কমে এসেছে, সেহেতু বাকি থাকে হরমোনের সমস্যা। এর মধ্যে কয়েকটা হরমোন আছে। তার মধ্যে রয়েছে থাইরয়েড হরমোন, যেটার ঘাটতির কারণে শিশুরা খাটো হতে পারে, পাশাপাশি তার বুদ্ধিমত্তাও কম হতে পারে। গ্রোথ হরমোনের সমস্যা যদি কারও থাকে, তাহলে শিশু খাটো হতে পারে।
শিশু কেন খাটো হয় এবং কী কারণে হয়, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।