খাদ্য প্রসাধনী ও শিশুদের খেলনায় উচ্চমাত্রার সীসা : এসডো

Looks like you've blocked notifications!

খাদ্য ও প্রসাধনসামগ্রী থেকে শুরু করে শিশুদের খেলনা; সবখানেই ক্ষতিকর সীসা পাওয়া গেছে। এই সীসার উৎস কারখানার রং, যা দীর্ঘমেয়াদে জটিল সব রোগের কারণ হতে পারে।

এনভাইরনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) এর গবেষণায় পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, কারখানায় যেসব রং তৈরী করা হয়, তাতে ৫০ শতাংশ উচ্চমাত্রার সীসা মিশ্রিত।

রংয়ের স্থায়িত্ব বাড়াতে এবং আরও বেশি উজ্জ্বল দেখাতে এতে ক্ষতিকর লেড বা সীসা মেশানোর বিষয়টি এখন আর অজানা নয়। তবে এত বেশি মাত্রায় যে সীসা মেশানো হচ্ছে, সেটা সত্যিই ধারণা করা যায় না। এটাও হয়তো অনেকের ধারণার বাইরে যে, ঐ রং সাধারণ জিনিসের বাইরে আর কোথায় কোথায় ব্যবহার করা হচ্ছে। ঐ রং ব্যবহার করা হচ্ছে খাবারে, প্রসাধন সামগ্রীতে এমনকি শিশুদের খেলনায়। এটাই উদ্বেগের বিষয়।

এনভাইরনমেন্ট এন্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশনের গবেষণায় দেখা যায়, কারখানায় যে রং তৈরী করা হয়, তার ৫০ শতাংশ নমুনাতে অতি উচ্চমাত্রার সীসা মেশানো। এসব রংয়ে ১ লাখ পিপিএম সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে, যেখানে কাঙ্খিত মাত্রা কোনভাবেই ৯০ পিপিএম এর বেশি নয়। এসব রং দিয়ে যদি ফুড কালার বা কৃত্রিম খাবারের রং বানানো হয়, তাহলে সে খাবার স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরী করে। শুধু খাবার নয়, কারখানায় তৈরী এসব রং এর উপস্থিতি পাওয়া গেছে শিশুদের খেলনায় ব্যবহার করা রংয়েও। আবার নারীদের প্রসাধনসামগ্রীতে কেবল যে সীসা মিশ্রিত রং পাওয়া গেছে তা নয়, আলাদাভাবে সীসা পাওয়া গেছে, যেন এর উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বেড়ে যায়।

খাবারের মাধ্যমে রং থেকে সীসা সরাসরি রক্তে চলে যাচ্ছে, আর খাবার ছাড়া অন্যান্য বস্তুতে ব্যবহার করা রং থেকে সীসা যাচ্ছে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে। এভাবেই যদি চলতে থাকে, তাহলে এর পরিণাম কত ভয়াবহ হতে পারে, তা অনেকেরই ধারণার অতীত।

গবেষণায় দেওয়ালে ব্যবহার করা ঘরের রংয়ের ৩০ শতাংশ নমুনায় উচ্চ মাত্রায় সীসার উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানায় এসডো; যা ঘরের ভেতরের বাতাসে সীসার উপস্থিতি বাড়িয়ে দূষিত করে তোলে।