গাউটের সমস্যায় ভুগছেন? ৫ খাবার নিয়মিত খান
রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে অস্থি-সন্ধি ও জয়েন্টে প্রদাহ হয়। একে গাউট বলে। অতিরিক্ত মদপান করলে, দীর্ঘদিন লিউকেমিয়ায় ভুগলে, দেহে গ্লুকোজ-৬ ফসফেটের অভাব হলে গাউটের সমস্যা হতে পারে।
কিছু খাবার রয়েছে, যেগুলো গাউট রোগীর খাদ্যতালিকায় রাখা জরুরি। এসব খাবার ইউরিক এসিড কমিয়ে গাউট অ্যাটাক নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এ ধরনের রোগীদের জন্য উপকারী খাবারের বিষয়ে জানিয়েছে জীবনধারাবিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাই।
- ফল
সব ধরনের ফলকেই গাউটের জন্য নিরাপদ ধরা হয়। গবেষণায় বলা হয়, চেরি গাউটের সমস্যা কমাতে উপকারী। এটি প্রদাহ কমায়। এ ছাড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল, যেমন—কমলা, লেবু, আমলকী ইত্যাদি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসাবিদরা।
- সবজি
বাঁধাকপি, ক্যাপসিকাম, বিটরুট ইত্যাদি গাউট কমাতে উপকারী। এগুলো কেবল সমস্যা কমায় না, ইউরিক এসিডের মাত্রা বাড়ার বিষয়টিও প্রতিরোধ করে। পাশাপাশি আলু, মাশরুম, বেগুন ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলোও সমস্যা কমাতে উপকারী।
- বাদাম
গবেষণায় বলা হয়, প্রতিদিন দুই টেবিল চামচ বাদাম খাওয়া গাউট রোগীর জন্য উপকারী। এ ক্ষেত্রে ওয়ালনাট, কাঠবাদাম, ফ্ল্যাক্সিড, ক্যাসোনাট ইত্যাদি খেতে পারেন।
- ডিম
গবেষণায় বলা হয়, গাউট রোগীদের জন্য ডিম খাওয়া উপকারী। ডিম প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে।
- দুগ্ধজাতীয় খাবার
লো ফ্যাট দুধ ও দুগ্ধজাতীয় খাবার ইউরিক এসিডের মাত্রা কমায় এবং গাউট অ্যাটাক প্রতিরোধ করে। দুধের মধ্যে থাকা প্রোটিন প্রস্রাবের সঙ্গে ইউরিক এসিডকে বের করে দিতে সাহায্য করে।