ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন, প্রতিকার কী
অনেকেই প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় ভোগেন। ঘনঘন প্রস্রাব করেন। বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ না নিয়ে কেউ কেউ ফার্মেসি থেকে ওষুধ খান। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া ও ঘনঘন প্রস্রাব হওয়ার কারণ এবং করণীয় সম্পর্কে বলেছেন আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালে ইউরোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান।
অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া হলে প্রথমে যে জিনিসটি বলব, আপনারা অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া শুরু করবেন না। আগে পরীক্ষা করতে হবে, রুটিন এক্সামিনেশন করতে হয়। তার পর প্রয়োজন হলে কালচার করতে হবে। তার পরে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করতে হবে। তার আগে অ্যান্টিবায়োটিক শুরু করা ঠিক হবে না। কারণ, ইনফেকশন ছাড়াও অনেক কারণে জ্বালাপোড়া হয় এবং এগুলো খুব কমন, বিশেষ করে ইয়াং ছেলেদের প্রস্টিটাইটিস হলে জ্বালাপোড়া হয়। মেয়েদের সিস্টাইটিস হয় অনেক সময়। প্রস্রাবের থলির টিউমারের কারণে হতে পারে। স্টোন হলে অনেক সময় হয়। কী কারণে হয়েছে, এটা জেনে তার পরে চিকিৎসা শুরু করতে হবে।
অনেকের ক্ষেত্রে দেখা যায়, ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হয়, কিডনির ওপর কি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে? সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মো. আফজার উদ্দীন শেখ বলেন, অবশ্যই প্রভাব ফেলতে পারে। ইনফেকশন থেকে কতগুলো জিনিস হয়। ইনফেকশন হলে প্রথমে কিডনিতে বা প্রস্রাবের থলিতে পাথর হতে পারে। এক ধরনের পাথর আছে, সেগুলো ট্রিপল ফসফেট স্টোন বলি। ওগুলো ইনফেকশনের মধ্যে হয়।
কিডনিতে যদি ইনফেকশন হয়, যেটাকে আমরা পাইলোনেফ্রাইটিস বলি, পাইলোনেফ্রাইটিস হলে অ্যাকিউট পাইলোনেফ্রাইটিস যেটা হয়, সেটা সিভিয়ার হয়। সেখান থেকে মানুষ মারাও যেতে পারে। ক্রনিক ইনফেকশনের জন্য কিডনি ছোট হয়ে যায়। কিডনি ফেইলিউর হয়। ইনফেকশনের অনেক প্রভাব আছে।
প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া এবং নারীর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।