জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধে করণীয়
বাংলাদেশে খুব কমন দুটি ক্যানসার হলো স্তন ক্যানসার ও জরায়ুমুখের ক্যানসার। প্রতিরোধযোগ্য ক্যানসারের কথা যদি বলা হয়, তবে সেটা জরায়ুমুখের ক্যানসার।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান ডাক্তার আছেন আপনার পাশে-র একটি পর্বে এ সম্পর্কে বলেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনি অ্যান্ড অবস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. লুৎফা বেগম লিপি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. শারমিন জাহান নিটোল।
কীভাবে আমরা জরায়ুমুখের ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারি? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. লুৎফা বেগম লিপি বলেন, আমাদের মহিলারা যতগুলো ক্যানসারের কারণে মারা যায়, তার মধ্যে জরায়ুমুখের ক্যানসার অন্যতম প্রধান কারণ এবং এটি এক নম্বরে সগর্বে অবস্থান করছে। কিন্তু খুবই আশাপ্রদ ব্যাপার যে ক্যানসারটি আমরা খুব সহজে, কিছু সচেতনতা, কিছু টেস্টের মাধ্যমে অনায়াসে প্রতিরোধ করতে পারি। কেন করতে পারি? জরায়ুমুখ এর অবস্থানগত কারণে শরীরের বাইরের অংশ, যোনিপথের বাইরের অংশ; যে কারণে আমরা জরায়ুমুখ সহজে দেখতে পারি এবং এর মধ্যে যদি কিছু পরিবর্তন হয়, চাক্ষুসভাবে দেখা যায়; সেটি খুব সহজেই দেখা যায়। আবার কিছু কিছু পরীক্ষা আছে, যেমন আমরা স্ক্রিনিং টেস্ট বলি। এর মধ্যে ভায়া পরীক্ষা অন্যতম। এর মধ্যে কিছু সেল আসে, প্যাপসমিয়ার বলে। যে জীবাণু দিয়ে জরায়ুমুখের ক্যানসারটি হয়, সেই জীবাণুটা অতি সহজেই শনাক্ত করা যায়। সেই জীবাণু শনাক্ত করে, সেই জীবাণু অবস্থান করছে কি না, সেটা সহজেই শনাক্ত করতে পারি। স্ক্রিনিং টেস্ট যদি পজিটিভ আসে, এর মধ্যে যদি অ্যাবনরমাল চেঞ্জ পাই, তাহলে জরায়ুমুখে ক্যানসার হওয়ার আগে আমরা চিকিৎসাটা দিয়ে দিতে পারি। যদি জীবন পরিক্রমা দেখি, ১০ থেকে ১৫ বছর লাগে পূর্বাবস্থা থেকে ক্যানসারে রূপ নিতে। তাই স্ক্রিনিং করতে পারলে আগেই আমরা চিকিৎসা দিতে পারব।
লিঙ্গ বিকাশজনিত সমস্যা এবং নারীর বিভিন্ন রোগ ও এসবের প্রতিকার সম্পর্কে জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।