ডায়াবেটিক ফুট কী? জানুন এর লক্ষণ
বাংলাদেশের অনেকেই ডায়াবেটিসজনিত নানান জটিলতায় ভুগছেন। আমাদের কাছে পরিচিত একটি শব্দবন্ধ ডায়াবেটিক ফুট। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ডায়াবেটিক ফুট বিষয়ে বিস্তারিত বলেছেন ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হসপিটালে ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান ডা. সাকলায়েন রাসেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
ডায়াবেটিক ফুট কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, অনেকে মনে করেন, একজন ডায়াবেটিক রোগী, তাঁর পায়ে ঘা হয়েছে; এই রোগটার নাম ডায়াবেটিক ফুট। এটা আসলে হুবহু সে রকম নয়। ডায়াবেটিস সাইলেন্ট কিলার। আপনি যদি এটাকে নিয়ন্ত্রণে না রাখেন, তাহলে ও আপনাকে কিল করবেই। আপনি হয়তো মনে করছে, পুরো মানুষটিকে একসাথে কিল করবে, তা নয়। পার্ট বাই পার্ট করবে। কিডনিকে ধরছে, হার্ট ধরছে... একটার পর একটা ধরছে। তার মধ্যে একটা পা। আমরা যতটা চোখ, ব্রেইন, হার্ট নিয়ে ব্যস্ত থাকি, পা নিয়ে অতটা থাকি না। এটা হার্ট থেকে একটু দূরে থাকে তো, আমরা তাই এটাকে অবহেলায় রাখি। পায়ের প্রতি যত্নটা কম থাকে। তাতে যেটা হয়, একজন লোকের ডায়াবেটিস আছে, তিনি নিয়ন্ত্রণে রাখেন না। দেখা যায় যে দশ বছর পর তাঁর পায়ের আস্তে আস্তে অনুভূতি কমে যায়।
ডা. সাকলায়েন রাসেল বলেন, আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগীকে বলেন ইনজেকশন দেব, বলবে, অসুবিধা নেই, আমার সহ্যক্ষমতা ভালো। তার মানে বুঝবেন ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে নেই। পায়ে ব্যথা অনুভব কম হচ্ছে। শুরুটা ওখান থেকেই হয়। অনুভূতি কমে যায়, সেটা ডায়াবেটিস রোগী বোঝে না। সে বলে কি, পায়ে জ্বালাপোড়া হচ্ছে। একটা সময় পায়ের অনুভূতি কমতে থাকে। এ অবস্থায় তাঁর রক্তনালীতে ব্লক হতে পারে। তাঁর পায়ের শেপ-সাইজ চেঞ্জ হতে পারে। একদিকে অনুভূতি কমে গেছে, আরেক দিকে শেপ বা সাইজে পরিবর্তন আসছে; আরেক দিকে ব্লাড ফ্লো কম, অনুভূতি কমে গেছে। এই তিনটা মিলে তাঁর পায়ে ঘা হতে পারে। সেই ঘা শুকায় না। তখন যে কন্ডিশন থাকে, সেটাকে ডায়াবেটিক ফুট বলে।
ডায়াবেটিক ফুট এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।