পেটের বয়স ২০ বছর কমাবেন যেভাবে!
শারীরিক সৌন্দর্যের নির্দিষ্ট কোনও সংজ্ঞা নেই। শারীরিক সৌন্দর্য হলো মানুষ যাতে স্বস্তি বোধ করে। অনেকের নিজের অঙ্গের অনেক কিছুই ভালো লাগে না। তারা চায় সেটি বদলাতে। সে জন্য এখন আধুনিক চিকিৎসাও রয়েছে। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সৌন্দর্যবর্ধনের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে নাকের সৌন্দর্যবর্ধন সম্পর্কে বলা বলেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের বিশেষজ্ঞ প্লাস্টিক সার্জন ডা. এ কে এম মুনিরুজ্জামান সানি। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন পুষ্টিবিদ নুসরাত জাহান দীপা।
অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি বলতে আমরা কী বুঝি, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. এ কে এম মুনিরুজ্জামান সানি বলেন, অ্যাবডোমেন মানে হচ্ছে পেট আর প্লাস্টি মানে প্লাস্টিক সার্জারি করে সেটাকে রিসাইজে ফেরত আনা। এটা খুব কমন সমস্যা। পেট ঝুলে পড়েছে। এটা খুবই কমন। বডি কন্ট্রোলিংয়ের যত প্রসিডিউর আছে, এর মধ্যে সবচেয়ে কমন প্রসিডিউর হচ্ছে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি। ম্যাক্সিমাম মানুষ বয়সের সাথে সাথে অনেক বার মোটা হয়েছেন। আবার অনেক বার কষ্ট করে শুকিয়েছেন। কিন্তু তাঁর যে রেজিস্ট্যান্ট ফ্যাট জমে পেটটা সামনের দিকে এগোতে এগোতে ঝুলে পড়েছে। কিন্তু সে ভালোভাবে নোটিশ করতে পারে না। এ ধরনের ক্লায়েন্টদের ক্ষেত্রে একটি আইডিয়াল সার্জারি হচ্ছে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।
ডা. এ কে এম মুনিরুজ্জামান সানি বলেন, অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টিতে কী করা হয়, এমন একটা জায়গায় কাটা হয়, যে কাটাটা আপনার চোখে পড়বে না। সেই কাটাটা ধরে এক্সট্রা ফ্যাট, স্কিন এবং অন্যান্য জিনিস কেটে আবার টানটান করে পেটটাকে ২০ বছর বয়স কমিয়ে দেওয়া সম্ভব। সে ক্ষেত্রে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টির অনেক ধরন আছে। কারও কারও ক্ষেত্রে অনেক বড় অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করা হয়। কারও কারও ছোট একটু অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি করলেই হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে নাভি রিপজিশন করতে হয়। পেটের যে রিশেপিং, পেটের বয়স ১৫, ২০, ৩০ বছর কমিয়ে দেওয়ার যে প্রসিডিউর, সেটাই হচ্ছে অ্যাবডোমিনোপ্লাস্টি।
সৌন্দর্যবর্ধন বা বডি শেপিং সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।