প্রেশার কখন বাড়ে বা কমে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমাধান কী
অনেকেই উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনে ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে জানব প্রেশার কখন বাড়ে বা কমে, ঘরোয়া পদ্ধতিতে এর সমাধানই বা কী।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হসপিটালের মেডিসিন বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. সুমন্ত কুমার সাহা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
কথায় কথায় অনেকে বলে, তার প্রেশার কমে গিয়েছে। এই যে প্রেশার কমে যাওয়া, এটি আমরা কখন থেকে ধরতে পারি। সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. সুমন্ত কুমার সাহা বলেন, এটা নিয়েও গাইডলাইনসে কিছু তারতম্য থাকে, প্রেশার কম বলব কখন? ১২০ বাই ৮০ পর্যন্ত আমরা নরমাল বলছি। নিচের লেভেলটা আমরা বলছি ১০০ বাই ৬০। অনেক সময় আমরা ৯০ বাই ৬০ থেকে ১২০ বাই ৮০-এর মধ্যে থাকলে সেটাকে আমরা নরমাল বলি। যদি এর চেয়ে কমে যায়, তখন আমরা ধরতে পারব যে পেশেন্টের ব্লাড প্রেশার কম আছে। এটাকে আমরা হাইপোটেনশন বলি।
পরিমাণগত যে পদ্ধতি, সেখানে আমরা ত্রুটি দেখতে পাই। আমরা দেখতে পাই সঠিকভাবে পরিমাপ করতে পারছে না। এর ফলশ্রুতিতে সে ধরতে পারছে যে কখন তার রক্তচাপ বেড়ে গিয়েছে, বা কখন তার কমে গিয়েছে। সেটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কীভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের উত্তরে ডা. সুমন্ত কুমার সাহা বলেন, আসলে প্রেশার মেজারমেন্টটা বড় একটা ডিসকাশন। খুব ছোট্ট করে বলছি। ব্লাড প্রেশার মেজারমেন্ট সব সময় সঠিক হয়ে ওঠে না। আমাদের কাছে যখন পেশেন্ট আসে, আমরা যেটা করি, মানে পেশেন্ট আসামাত্র আমরা ব্লাড প্রেশার মেপে ফেলছি আর কি। সবাই যাঁরা আমরা ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস করছি। এই দিক থেকে আমরা যদি একটু সচেতন হই, তাহলে ওই পেশেন্টের আসল ব্লাড প্রেশারটা জানতে পারব।
ডা. সুমন্ত কুমার সাহা বলেন, আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন সাতটা রুলস দিয়েছে, আমরা যেন সেগুলো ফলো করে থাকি। সাতটা রুলের মধ্যে বলেছে, পেশেন্ট যখন বসবে, তার যেন ব্যাক সাপোর্টে থাকে। ব্যাক ও ফুট যেন সাপোর্টে থাকে। ব্যাক যদি আনসাপোর্টেড থাকে, তাহলে সে ক্ষেত্রে প্রেশারের তারতম্য হতে পারে।
ব্লাড প্রেশার মাপার পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।