যে লক্ষণে বুঝবেন আপনি হিমোফিলিয়ায় ভুগছেন
হিমোফিলিয়ার অর্থ হচ্ছে রক্তক্ষরণের প্রবণতা যার বেশি। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে হিমোফিলিয়া সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে হিমোফিলিয়া সম্পর্কে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. মাহবুবা শারমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. সামিউল আউয়াল স্বাক্ষর।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবা শারমিন বলেন, হিমোফিলিয়াকে রয়েল ডিজিজ বলা হয়। রক্ত জমাট বাঁধার জন্য আমাদের কিছু ফ্যাক্টর লাগে, ফ্যাক্টর আর কিছু উপাদান। ফ্যাক্টর আর উপাদানের জন্যই আমাদের শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। কিছু ফ্যাক্টর হিমোফিলিয়ার ক্ষেত্রে ইমপরটেন্ট, যেমন ফ্যাক্টর ৮, ফ্যাক্টর ৯ ও ফ্যাক্টর ১১। ফ্যাক্টর ৮-এর অভাবে বা ডেফিসিয়েন্সি বা পরিমাণে কমে গেলে আমরা তাকে বলি হিমোফিলিয়া এ। আর ফ্যাক্টর ৯ যদি কমে যায়, তাহলে তাকে আমরা বলি হিমোফিলিয়া বি। যদি ফ্যাক্টর ১১-এর অভাবে হয়, তাহলে আমরা তাকে বলি হিমোফিলিয়া সি।
হিমোফিলিয়ার লক্ষণ বা উপসর্গগুলো কী, সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. মাহবুবা শারমিন বলেন, জন্মের কিছু পরে হিমোফিলিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায়, যখন একটি বাচ্চা যেমন দোলনার মধ্যে শুয়ে আছে, তাকে দোলনা থেকে ওঠানোর সময় শরীরে লাল লাল দাগ হয়ে যেতে পারে, হামাগুড়ি দেওয়ার সময় হাঁটু ফুলে যেতে পারে বা হাতের কোথাও ফুলে যাচ্ছে। তার পর দেখা যায় দাঁত তোলার সময় ব্লিডিং বন্ধ হচ্ছে না বা মুসলমানি করার সময় রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। তখন আমাদের মাথায় রাখতে হবে, এটি রক্তক্ষরণজাতীয় প্রবণতা।
হিমোফিলিয়া বা অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ প্রবণতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।