রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার খাবেন
করোনাভাইরাসের কারণে সারা বিশ্বের মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। এখনো কোনো প্রতিষেধক আমরা পাইনি। এ সময় আমাদের অ্যান্টিবডির পরিমাণ বাড়াতে হবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে যেসব খাবার খেতে হবে, সে প্রসঙ্গে পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদ নিশাত রহমান রুনা। তিনি বলেন, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আমাদের খাদ্যতালিকায় কিছু খাবার অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। অবশ্যই আমাদের প্রোটিনজাতীয় খাদ্য অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। প্রোটিনজাতীয় খাবার আমরা পাব মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, শাকসবজি, ফলমূল ও ডাল থেকে। তাই আমাদের প্রতিদিন প্রোটিনজাতীয় খাবার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ গ্রহণ করতে হবে, যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে।
পুষ্টিবিদ নিশাত রহমান রুনা বলেন, এ সময় আমাদের অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ভিটামিন-এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ, নাক-কান-গলার রোগ ভিটামিন-এ প্রতিরোধ করে। যখনই কোনো ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করে, করোনাভাইরাস আক্রমণ করে, প্রথমেই আমাদের নাক-কান-গলায় প্রবেশ করে। তাই আমাদের অবশ্যই ভিটামিন-এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। সবুজ, গাঢ় সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূলে আমরা ভিটামিন-এ পেয়ে থাকি।
ভিটামিন-সি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং এটি সহজেই পেয়ে থাকি। সাধারণত লেবু, কমলা, আমলকি আমাদের হাতের কাছেই থাকে। তাই এসব গ্রহণ করে সহজেই আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারি।
ভিটামিন-বি৬ আমাদের ক্লান্তি ও অবসাদ দূর করে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে আমরা দুর্বলতা অনুভব করি। তাই আমাদের অবশ্যই ভিটামিন-বি৬ গ্রহণ করতে হবে। শাকসবজি ও ফলমূলে প্রচুর ভিটামিন-বি৬ পাওয়া যায়। এ সময় আমাদের অবশ্যই সেলেনিয়াম গ্রহণ করতে হবে। সেলেনিয়াম করোনাভাইরাস, এইচআইভি এইডস, ক্যানসারসহ ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশনের মতো রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। যেহেতু করোনাভাইরাস ডায়াবেটিক, হাইপারটেনশনসহ বিভিন্ন রোগীদের মারাত্মকভাবে আক্রান্ত করে, তাই আমাদের এ সময় এ খাবার অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
পুষ্টিবিদ নিশাত রহমান রুনা বলেন, জিঙ্ক আমাদের অবসাদ দূর করে। সেইসঙ্গে আমাদের ক্ষত পূরণ করে এবং চর্মরোগ প্রতিরোধ করে। এটা করোনাভাইরাসের জন্যও খুবই উপকারী। আমাদের যেহেতু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, তাই জিঙ্ক অবশ্যই প্রয়োজন। জিঙ্ক আমরা প্রতিদিনকার খাবারেই পেয়ে থাকি। সাধারণত শাকসবজি, ফলমূলে আমরা পর্যাপ্ত জিঙ্ক পেয়ে থাকি।
এ সময় আমাদের অবশ্যই পর্যাপ্ত পানি পান করতে হবে। দিনে পাঁচ থেকে ছয় লিটার পানি পান করতে হবে। তবে আমাদের অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের মাস্ক পরতে হবে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে, যেন আমরা শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে পারি। সেইসঙ্গে আমাদের ভিটামিন-ডি গ্রহণ করতে হবে। সকালে সূর্যের তাপ থেকে আমরা ভিটামিন-ডি নিতে পারি। এ ছাড়া আমরা কলিজা, দুধ এবং আনুষঙ্গিক আরো খাবারে ভিটামিন-ডি পেতে পারি।