রোজা রেখে মাথা ঘোরালে ইফতারে যা খাবেন
পবিত্র রমজানে আমরা প্রায় সবাই ইফতার থেকে সেহরি পর্যন্ত পানাহার করে থাকি। আর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত একেবারে আমরা পানাহার থেকে বিরত থাকি। সেহরি দিয়ে আমরা রোজা শুরু করি আর ফজরের নামাজের আগে সেহরি গ্রহণ করে থাকি।
সারা দিন রোজা রাখার পর অনেকের মাথা ঘোরে, দুর্বলতা অনুভব করেন। এ থেকে মুক্তির উপায় কী, এ সম্পর্কে জানতে চান অনেকেই। এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক এক অনুষ্ঠানে এ সম্পর্কে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্না।
উম্মে সালমা তামান্না বলেন, রোজায় আমরা ১৪ থেকে ১৫ ঘণ্টা না খেয়ে থাকি এবং এতে আমাদের লিভারে যে ধরনের ফ্যাট থাকে এবং শরীরে যে ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেট জমা থাকে, সেটা থেকেই দেখা যায় আমাদের... ওই সময় সারা দিনের শক্তিটুকু আমরা পাই। ইফতার ও সেহরিতে যদি আমরা ঠিকমতো খাবার গ্রহণ না করি, তাহলে বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। সাধারণত আমরা যারা রোজা রাখি, তারা জানি, এ সময়টাতে মাথা ঘোরা, দুর্বলতা, বমি বমি ভাব, হাত-পা কাঁপাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা এ সময় দেখা দেয়। এ সমস্যা দেখা দেওয়ার কারণ, রোজার মাসে খাবার তালিকা ঠিক ছিল না। ইফতার ও সেহরিতে আপনি যদি ঠিকমতো খাবার গ্রহণ না করেন, তাহলে পরের দিনই দুর্বল লাগতে পারে শরীর, মাথা ঘুরতে পারে, হাত-পা কাঁপতে পারে, শরীর ঘামতে পারে। এমন নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পুষ্টিবিদ উম্মে সালমা তামান্নার পরামর্শ, রোজার সময় আপনি যে কাজটি করবেন, সেটা হলো শুরুতেই আপনি নরমাল পানি বা নরমাল লেবুর শরবত, খুব কম চিনি-মিষ্টি দিয়ে যদি কোনো পানীয় খেতে পারেন এবং খেজুর দিয়ে শুরুটা করতে পারেন, তাহলে দেখা যায় যে আমাদের পাকস্থলীর ওপরে অতিরিক্ত চাপ পড়ে না এবং যে কারণে আমাদের মাথা ঘোরা, শরীর খারাপ; এই ধরনের সমস্যাগুলো দেখা দেবে না। অনেক ধরনের পানীয় আপনারা গ্রহণ করতে পারেন, যেমন স্মুদি। ইফতারের জন্য এটা খুবই ভালো একটা আইটেম। আপনি যদি দই-কলা দিয়ে স্মুদি করতে পারেন বা দুধ-কলা দিয়েও যদি স্মুদি করে খেতে পারেন, সেটাতে যদি চিয়া সিড বা তোকমা যুক্ত করেন, সেটাও কিন্তু আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। এটা দেখা যাবে যে শুরুতেই ইনস্ট্যান্ট এনার্জি জোগাবে এবং পাকস্থলীর ওপরও প্রেশার ফেলবে না।
এ পুষ্টিবিদ বলেন, কলা কিন্তু হজমের জন্য ভালো। আপনি যদি স্মুদিতে কলা রাখেন, সেটাও কিন্তু আপনার শরীরে প্রশান্তি এনে দেবে। খেজুরটা এ সময় আমরা অবশ্যই রাখতে বলি। কারণ, ইনস্ট্যান্ট এনার্জি দরকার হয় আমাদের। সারা দিন যেহেতু আমরা না খেয়ে থাকি, তাই দ্রুত আমাদের এমন খাবার দরকার, যেটা আমাদের সহজে এনার্জি জোগায়। এ জন্য ডাবের পানি, খেজুর ও ফল খেতে পারেন। ফলে মিষ্টি থাকে। এটা আপনাকে সহজে এনার্জি জোগাবে। পাশাপাশি ইফতারে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখবেন।
সুস্থ থাকার জন্য ইফতার ও সেহরিতে পুষ্টিকর কী খাবার গ্রহণ করবেন, তা জানার জন্য উপর্যুক্ত ভিডিওতে ক্লিক করুন।