সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা
সিসটিক ফাইব্রোসিস একটি জেনেটিক রোগ। অনেকে সিসটিক ফাইব্রোসিস রোগে আক্রান্ত। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে সিসটিক ফাইব্রোসিসে আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে অ্যাজমা বা হাঁপানি বিষয়ে কথা বলেছেন জাতীয় বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক, শিশু অ্যাজমা ও অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ ডা. এম এস খালেদ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সিসটিক ফাইব্রোসিস আক্রান্ত রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা সংক্রান্ত সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এস খালেদ বলেন, যেহেতু জেনেটিক রোগ, এটার ডায়াগনোসিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একবার কোনও রোগীকে সিসটিক ফাইব্রোসিস হিসেবে ডায়াগনোসিস করেন, সে কিন্তু সিসটিক ফাইব্রোসিসই থাকবে। কারণ, আমরা থ্যালাসেমিয়ার কথা বলি। সে ভালো, সবকিছু করছে, কিন্তু থ্যালাসেমিয়া। সুতরাং এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্ট হলো যে সিসটিক ফাইব্রোসিস ডায়াগনোসিস করার জন্য দুইটা টেস্ট খুবই জরুরি। একটা হলো পাইলোকারপিন সোয়েট ক্লোরাইড টেস্ট, অন্যটি জিন মিউটেশন অ্যানালাইসিস। আমরা পাইলোকারপিন সোয়েট ক্লোরাইড টেস্টটা আমরা করি, আর জিন মিউটেশন আমরা খুবই এক্সপেরিমেন্টাল লেভেলে চেষ্টা করছি। এটা এখনও ওভাবে চালু করতে পারিনি।
ডা. এম এস খালেদ বলেন, পাইলোকারপিন সোয়েট ক্লোরাইড টেস্ট করার জন্য আমাদের মাথার মধ্যে নিতে হবে... ঘামে যদি ক্লোরাইড লেভেল বেশি থাকে তাহলে আমরা তাকে সিসটিক ফাইব্রোসিস বলি। তবে প্রথম বার করলে বলব না। বলব, এক সপ্তাহ পরে আবার করেন। যদি দুবার হয়, অলমোস্ট আমরা কনফার্ম হয়ে যায় যে এটা সিসটিক ফাইব্রোসিস।
যেহেতু ফুসফুসের টিস্যুগুলো শক্ত হয়ে যায়, এ ক্ষেত্রে চিকিৎসা করে কি ভালো ফল পাওয়া যায়? সঞ্চালকের এ প্রশ্নের জবাবে ডা. এম এস খালেদ বলেন, আমরা যদি ফাইব্রোসিস হওয়ার আগে ডায়াগনোসিস করতে পারি, আমরা যদি ট্রিটমেন্ট করতে পারি, তাহলে তো ফাইব্রোসিস হবে না বা ওই লেভেলে যাবে না। সমস্যা হলো যে আমরা ডায়াগনোসিস করি অনেক পরে।
সিসটিক ফাইব্রোসিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন। এ ছাড়া স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এনটিভি হেলথ ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন এবং জানুন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ।