হার্টের সুস্থতা ও শারীরিক জড়তা কাটাতে মাছ খান
পৃথিবীর সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম মাছ। কারণ, মাছে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান, যার মধ্যে ভিটামিন ডি ও প্রোটিন অন্যতম। আজ আমরা একজন পুষ্টিবিদের কাছ থেকে মাছের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ। তিনি বলেন, মাছে রয়েছে হাই-কোয়ালিটি প্রোটিন, আয়োডিন, বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং মিনারেলস। এ ছাড়া মাছে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এবং ব্রেইনের জন্য খুবই উপকারী। ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড আমাদের হার্টকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আমাদের বার্ধক্যকে প্রতিরোধ করার জন্য ওমেগা থ্রি বেশ ভালো কাজ করে থাকে।
পুষ্টিবিদ জান্নাতুল নাঈমা আফরোজ বলেন, মাছে উপস্থিত তেল আমাদের ত্বককে ভালো রাখতেও সাহায্য করে। আমাদের শরীরে কিছু ভিটামিন রয়েছে, যা আসলে ফ্যাট ছাড়া কাজ করতে পারে না। এ ফ্যাটটা আমরা গ্রহণ করব একটি ভালো উৎস থেকে, যেটা হতে পারে মাছ। এই মাছের ফ্যাটটা প্রতিদিন আমাদের শরীরের বিভিন্ন কার্যক্ষমতা বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করবে এবং শরীরে শক্তি উৎপাদন করতে সাহায্য করবে।
এ পুষ্টিবিদ আরও বলেন, মাছে উপস্থিত তেল অনেক রোগের ঝুঁকি কমায়। ডিপ্রেশন (বিষণ্ণতা) আজকাল খুব কমন একটি রোগ। ডিপ্রেশন প্রতিরোধে মাছের তেল খুব ভালোভাবে কাজ করে। এ ছাড়া আমাদের যেসব ভিটামিন ফ্যাটনির্ভর, ফ্যাট সলিউবল ভিটামিন রয়েছে, সেসব ভিটামিনের জন্য হলেও, ভিটামিনের কার্যকারিতার জন্য হলেও আমাদের সপ্তাহে অন্তত দু-একদিন ফ্যাটি ফিস খাওয়া উচিত। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিস প্রতিরোধে এবং বাচ্চাদের আমরা ফ্যাটি ফিস খাওয়াতে পারি। এ ছাড়া যেসব বাচ্চার অ্যাজমা রয়েছে, অ্যাজমা প্রতিরোধেও ফ্যাটি ফিস দারুণভাবে কাজ করে থাকে।
চোখের সুস্থতা, ঘুমের সমস্যা এবং শারীরিক জড়তা থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রতিদিন খাবারের তালিকায় মাছ রাখুন।