পায়ে ব্লক প্রতিরোধে কোলেস্টেরল পরীক্ষা করান

পায়ে ব্লক সাধারণত হয় রক্তনালিতে চর্বি জমে। এটি কমাতে প্রতিরোধ জরুরি। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৯৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. এস এম জি সাকলায়েন।
বর্তমানে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাসকুলার সার্জারি বিভাগের বিশেষজ্ঞ ভাসকুলার সার্জন হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : ব্লক কেন হয়? প্রতিরোধে পরামর্শ কী?
উত্তর : সাধারণ মানুষের ধারণা, হৃৎপিণ্ড কেমন আছে সেই পরীক্ষা করতে আমি ইসিজি করব। আর মস্তিষ্কে হলে সিটিস্ক্যান করব। আমি বলব যে আপনি রক্তের একটি পরীক্ষা করেন। ১২ ঘণ্টা না খেয়ে আপনি একটি লিপিড প্রোফাইল করান। অর্থাৎ কোলেস্টেরলের মাত্রাটা করান। যদি দেখা যায় আপনার কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে নেই, ধরে নেওয়া যায় আপনার মস্তিষ্ক, হৃৎপিণ্ড ও পায়ের যেকোনো জায়গায় ব্লক হতে পারে। অনেকের আবার ধারণা, আমার তো শরীর স্বাস্থ্য পাতলা, আমার কোনো সমস্যা নেই, আমার চর্বিজাতীয় সমস্যা হবে না। তবে এখন আসলে চর্বিজাতীয় সমস্যাগুলো কোনো বয়স, ওজন কোনো কিছুই মানে না। শরীরে না থাকলেও রক্তনালির ভেতরে থাকতে পারে। দেখা গেল, তার বংশের কারণেই শরীরের মধ্যে রক্ত জমে যাওয়ার প্রবণতা বেশি। তাই একটি পরীক্ষাই তাকে করতে হবে, এটি হলো কোলেস্টেরল। একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। যার ডায়াবেটিস বেশি, তাকে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। প্রেশার বেশি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এবং অবশ্যই ধূমপান ও ধূমপায়ী দুজনের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। এ ছাড়া আর কোনো সুযোগ নেই এই রোগ থেকে ভালো থাকার জন্য। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সমস্যা হলে অবশ্যই যেখানে-সেখানে না দেখিয়ে একজন ভাসকুলার সার্জনের কাছে আসতে হবে।