চিকিৎসাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক নয়
অনেকে চিকিৎসাপত্র ছাড়াই ভুলভাবে অ্যান্টিবায়োটিক খায়। এতে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হয়। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬১২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. ওয়াইজা রহমান। বর্তমানে তিনি ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন ধরনের রোগীরা অ্যান্টিবায়োটিক পূর্ণ মাত্রায় গ্রহণ করে না?
উত্তর : যখন রোগী চিকিৎসকের কাছে আসবেন, চিকিৎসক কিন্তু অবশ্যই তখন চিকিৎসাপত্রে লিখে দেবেন যে আপনি এই ওষুধটা এত ঘণ্টা পরপর, এত দিন খাবেন, খাবার আগে কিংবা পরে কিংবা দুধের সঙ্গে খেতে পারবেন না। সব সুন্দর করে তাকে লিখে দেবেন। কিন্তু সমস্যাটা হয়েছে কি, আমরা সবাই চিকিৎসক, শুধু হয়তো আমাদের ডিগ্রি নেই। আমাদের দেশের সাধারণ জনগণের সমস্যাটা এ রকম হয়েছে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, তারা ফার্মেসিতে চলে যাচ্ছে। গবেষণায় দেখা গেছে, ৯২ ভাগ ওষুধ বিক্রি হয় ফার্মেসিতে চিকিৎসাপত্র ছাড়া। এটা আসলে আমাদের দেশে একটি সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। এই ওষুধ যারা কিনছে, তাদের মধ্যে চিকিৎসাপত্রের বিষয়টিই নেই। কিংবা ওই খানে ফার্মেসির যে ভদ্রলোক, তাকে ওষুধটি দিচ্ছে ধরেই নিলাম, একজনের ডায়রিয়া হয়েছে। বাচ্চাদের ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে আমরা ধরেই নিই এটা ভাইরাস দিয়ে হবে। একে আমরা রোটা ভাইরাল ডায়রিয়া বলি। এতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই।
সাধারণ সর্দি-জ্বরের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো প্রয়োজন নেই। তখন হয়তো ফার্মেসিওয়ালাও বলছে, আপনি দুটো মেট্রোনিডাজল নিয়ে যান। কিংবা আরো অন্য ওষুধ নিয়ে যান। রোগী কিন্তু খুব খুশি তার সমস্যাটা কমে যাচ্ছে। এরপর তার আশপাশে যখন অন্যদের এ রকম সমস্যা হচ্ছে, অন্যকেও আবার বলছে ওই একইভাবে। চিকিৎসাপত্র ছাড়া ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক খাওয়া ঠিক নয়।