জরায়ুমুখের ক্যানসার হলে চিকিৎসা কী
জরায়ুমুখের টিউমার দুই ধরনের। ম্যালিগনেন্ট ও বিনাইন। এর মধ্যে বিনাইন টিউমার কম ক্ষতিকর। আর ম্যালিগনেন্ট টিউমার বেশি ক্ষতিকর। এটি ক্যানসারের আশঙ্কা বাড়ায়।
এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৬৩৪তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজলিমা নারগিস। বর্তমানে তিনি ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজের গাইনি ও অবস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : জরায়ুর টিউমার যখন ভয়াবহ বা ক্যানসার হয়ে গেছে, সেই ক্ষেত্রে কী কী চিকিৎসা রয়েছে।
উত্তর : আমি যেটি বললাম—ফাইব্রয়েড, ইউটেরাস যেটি, সাধারণত একে আমরা বিনাইন টিউমার বলে থাকি। সে জন্য জরায়ুর টিউমার হলে প্রথমেই এত ঘাবড়ানোর কারণ নেই। কারণ, এটা থেকে ম্যালিগনেন্সি বা ক্যানসারের পরিমাণ খুবই কম, দশমিক পাঁচ শতাংশ। সেই জন্য জরায়ুর টিউমার হলেই এত ভীতিজনক অবস্থায় পৌঁছানোর দরকার নেই যে তার টিউমার হয়েছে।
এরপরও জরায়ুতে অন্যান্য ক্যানসার হতে পারে। যদি এই ক্ষেত্রে কারো জরায়ুর ক্যানসার হয়ে থাকে, এর জন্য আলাদা চিকিৎসা দিয়ে থাকি। এর জন্য সার্জারি করার দরকার হয়। সার্জারি করার পর রোগীকে আবার কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।
প্রশ্ন : দর্শকদের উদ্দেশে এ বিষয়ে কিছু বলুন।
উত্তর : যদি কারো জীবনে স্বাভাবিক চলার পথে যদি ব্যতিক্রম দেখা যায়, কোনো সমস্যার সম্মুখীন কেউ হয়, তাহলে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে ছোট অবস্থাতেই এর চিকিৎসা নিতে পারি।