যক্ষ্মা প্রতিরোধে সতর্কতা যেভাবে নেবেন

যক্ষ্মা হলে রক্ষা নেই- আগে এমন কথা প্রচলিত থাকলেও এই রোগের এখন ভালো চিকিৎসা রয়েছে। তবে যক্ষ্মা প্রতিরোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৪৬তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ড. মোহাম্মদ জিয়াউর রহিম। বর্তমানে তিনি আইসিডিডিআরবির টিউবার কিউলোসিস ইউনিটে পরামর্শক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন : আক্রান্ত মানুষকে পশু পালন করতে প্রতিরোধে কি সতর্কতা নিতে হবে? আর পশু থেকে যেন পশুতে না ছড়ায় বা পশু থেকে মানুষে না ছড়ায় এ জন্য পর্যায়ক্রমে কী করতে হবে?
উত্তর : কোনো মানুষ যদি আক্রান্ত হয়, তাকে কোনো মতেই সুস্থ প্রাণীর সংস্পর্শে আসতে দেওয়া উচিত নয়। যদি তাকে আসতেই হয়, যথেষ্ট পরিমাণ সতর্কতা মেনে চলতে হবে। মুখে মাস্ক পরবে, যত্রতত্র কফ থুতু ফেলবে না। তাহলে প্রাণীটি আক্রান্ত হবে না। দ্বিতীয়ত, যদি আক্রান্ত প্রাণী হয়ে থাকে, সেখান থেকে মানুষ অনায়াসে রোগ গ্রহণ করতে পারে। সেটি নিবারণ করার জন্য প্রতিটি ফার্মে ডাক্তার থাকা উচিত। পশু চিকিৎসকরা যথাসময়ে পশুগুলোর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করবেন। যেসব পশু যক্ষ্মায় আক্রান্ত, সেগুলোকে ফার্ম থেকে সরিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে মেরে ফেলে পুতে ফেলতে হবে। এটাই হলো সবচেয়ে ভালো উপায়। তাহলে আর এক পশু থেকে আরেক পশুতে সংক্রমিত হতে পারবে না। পশু থেকে মানুষেও আসতে পারবে না।
প্রশ্ন : রান্নার আগে সব সময়তো আমরা বুঝতে পারব কি না এটি আক্রান্ত কি না সেই ক্ষেত্রে সতর্কতা কী?
উত্তর : আমরা জানি, মাংসে যক্ষ্মার জীবাণু থাকতে পারে। তাই মাংসে হাত দেওয়ার পরই, যথেষ্ট ভালো করে হাত ধুয়ে ফেলতে হবে। সম্ভব হলে হাতে গ্লাভস পরে নেওয়া যেতে পারে। যারা বেশি পরিমাণে এগুলোর ব্যবস্থাপনা করবে যেমন কষাই, তাদের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে মাস্ক পরবে। গ্লাভস পরবে। দরকার হলে তাদের নির্দিষ্ট পোশাক পরা উচিত। তাহলে আর সংক্রমণ হবে না।