কিডনি সুস্থ রাখতে কী করবেন?
কিডনি সুস্থ রাখতে যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। আর তাই দরকার নিয়মিত স্ক্রিনিং। পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান, সঠিক খাবার গ্রহণ, শারীরিক পরিশ্রম। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৬৭২তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন অধ্যাপক মো. হানিফ। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু হাসপাতালের শিশু কিডনি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : কোন ঝুঁকিপূর্ণ বিষয়গুলো থাকলে নিয়মিত স্ক্রিনিং করা উচিত? স্ক্রিনিংয়ে কী কী পরীক্ষা করা হয়?
অধ্যাপক মো. হানিফ : কিডনির আয়না হলো প্রস্রাব। প্রস্রাবটা খেয়াল করতে হবে। প্রস্রাবের রং তো আমরা স্বাভাবিকভাবে বুঝতে পারি। প্রস্রাবের রং লাল হচ্ছে কি না, রক্তকণিকা যাচ্ছে কি না বা কোনো প্রোটিন যাচ্ছে কি না, সেগুলো দেখতে হবে। উচ্চ রক্তচাপ যেসব পরিবারে আছে সেসব রোগীদের তিন বছরের পর থেকে প্রতিবছর অন্তত রক্তচাপ মাপা উচিত। এই জন্য যে রক্তচাপ কিডনিকে আক্রান্ত করছে কি না বা অন্যান্য অঙ্গকে আক্রান্ত করছে কি না বোঝা যায়। কিডনির পর ইউরিয়া, ক্রিয়েটিনিন এই কার্যক্রমগুলো আমরা দেখতে পারি।
অনেক সময় আমরা হঠাৎ করে দেখি একটি লোক ফ্যাকাসে হয়ে গেছে। কিডনি রোগের কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নের মধ্যে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, রক্তশূন্যতা হওয়া এগুলো হতে পারে। সব সময় প্রতিরোধই আমাদের উত্তম পন্থা। এই জন্য আমাদের বিষয়গুলোকে খেয়াল রেখে প্রতিরোধের দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
প্রশ্ন : কিডনি সুস্থ রাখার পরামর্শ কী?
উত্তর : শিশু জন্মের সময় আমাদের মায়ের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে। যাতে সুস্থ বাচ্চা জন্মগ্রহণ করে। রক্তচাপ পরীক্ষা করতে হবে। স্থূলতার বিষয়ে নজর রাখতে হবে। কিডনি রোগ ধরা পড়লেই সঙ্গে সঙ্গে খারাপ হয়ে যাচ্ছে তা নয়। আগে আগে ধরতে পারলে জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রতিরোধ করে রাখতে পারি। সুতরাং এটি সবাইকে খেয়াল রাখতে পারবে। আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে কিডনিকে সুস্থ রাখতে হবে। কিডনি অসুস্থ হওয়ার পরও লং জিবিটি বাড়ানোর জন্য কাজ করতে পারি।