পাকস্থলী ক্যানসারের চিকিৎসা কী?
পাকস্থলীর ক্যানসারের ক্ষেত্রে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন ধূমপায়ীরা। এ ছাড়া লবণে সংরক্ষিত খাবার, নাইট্রাইট ও নাইট্রেট-জাতীয় খাবার, লবণ ও ধোঁয়াযুক্ত খাবার ইত্যাদি যাঁরা বেশি গ্রহণ করেন, তাঁদের পাকস্থলীতে ক্যানসার হতে পারে।
এন্ডোস্কোপি করে পাকস্থলীর প্রাচীর থেকে কোষ এনে সেটিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে পাকস্থলীর ক্যানসার নির্ণয় করা হয়। বেরিয়াম মিল এক্স-রে করে পাকস্থলীর ক্যানসার সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সময় পাকস্থলীর ক্যানসার শরীরে কতটুকু ছড়িয়েছে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য সিটিস্ক্যান করা হয়।
প্রাথমিক পর্যায়ে যেকোনো ক্যানসারের চিকিৎসা সম্ভব। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ক্যানসার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে। তখন রোগীর চিকিৎসা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
প্রাথমিক পর্যায়ে এ ক্যানসার ধরা পড়লে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে চিকিৎসা করা সম্ভব। এ অবস্থায় রোগীর রোগমুক্তির হার অনেক বেশি। তবে বিভিন্ন অঙ্গে ছড়িয়ে পড়া ক্যানসারের চিকিৎসা অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে করা সম্ভব হয় না অনেক সময়। এতে রোগীর বেঁচে থাকার হার অনেক কমে যায়। সেই সঙ্গে চিকিৎসা খরচও বেড়ে যায়। রোগীকে কেমোথেরাপি দিতে হতে পারে। তাই এ ক্যানসারে আক্রান্ত ব্যক্তি দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
প্রতিরোধ
এ ক্যানসার প্রতিরোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে পারেন। একাধিক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, অধিক পরিমাণে শাকসবজি, ফলমূল এবং অল্প পরিমাণে লবণযুক্ত খাবার খেলে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে যায়। ভিটামিন-সি এবং ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ খাবারও পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়। ভেজাল ও প্রিজারভড খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। রং ব্যবহার করা খাবার খাবেন না।
লেখক : মেডিকেল অফিসার, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।