ঘরে বসেই নিয়ন্ত্রণ করুন উচ্চ রক্তচাপ

শারীরবৃত্তীয় একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রক্ত চলাচল। এর একটা স্বাভাবিক মাত্রা রয়েছে। যখন নির্দিষ্ট মাত্রার বাইরে রক্তচাপ উঠে যায়, তখন তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বেলায় সিস্টোলিক বা ওপরের রক্তচাপটি ১৪০ এর ওপরে উঠলে আর ডায়াস্টোলিক বা নিচের রক্তচাপটি ৯০-এর ওপরে উঠলে তাকে উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়। দুটোর মধ্যে যেকোনো একটা বাড়লেও উচ্চ রক্তচাপ হয়।
উচ্চ রক্তচাপকে নীরব ঘাতক বলা হয়। এর ফলে স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অকার্যকরের মতো বিভিন্ন জটিলতা তৈরি হতে পারে। তবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে, যা একে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে এ বিষয়ে কিছু পরামর্শ।
রসুন
রসুন অনেক রোগের দাওয়াই হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শরীর ভালো রাখতে রসুন খাওয়ার চল বহু পুরনো। এই প্রাকৃতিক ওষুধ কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণেও কাজ করে।
পেঁয়াজ ও মধু
উচ্চরক্তচাপ কমানোর দ্রুত এবং কার্যকরী পদ্ধতি হলো এক টেবিল চামচ পেঁয়াজের রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খাওয়া। এই মিশ্রণ প্রতিদিন খেতে পারেন।
গাজর
একটি গাজর এবং কিছু পুঁইশাকের পাতা ব্ল্যান্ড করে জুস হিসেবে খেতে পারেন। দিনে দুবার এই মিশ্রণ খাওয়া উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে।
বিট রুট
এই লাল রঙের সবজির জুস দিনে দুবার সেবনে উচ্চ রক্তচাপ কমে।
লাল এবং সাদার যুদ্ধ
মাছ ও মুরগির মাংস উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে লাল মাংস (গরু, খাসি) উচ্চ রক্তচাপকে বাড়িয়ে দিয়ে অবস্থা জটিল করে তোলে। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, খাদ্যতালিকায় মাছ অথবা মুরগি ও সবজি রাখুন। পাশাপাশি খাবারে লবণের পরিমাণ কমান।
এসব ঘরোয়া দাওয়াই উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করে স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনে সাহায্য করবে। তবে যেকোনো জিনিস নিয়মিত সেবনের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।