নাক খাড়া বা বাঁকার চিকিৎসায় করণীয়

অনেকের ক্ষেত্রে জন্মগতভাবে নাক খাড়া বা বাঁকা হয়, আবার অনেকের আঘাতের কারণে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে। এসব সমস্যায় করণীয় কী, এ বিষয়ে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৮৫১তম পর্বে কথা বলেছেন ডা. ইকবাল আহমেদ। বর্তমানে তিনি শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে প্লাস্টিক ও কসমেটিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : নাক কারো খাড়া হয়, বাঁকা হয়- এই সমস্যাগুলো হয় কেন?
উত্তর : এই সমস্যাগুলো জন্মগত ত্রুটি হিসেবেও হতে পারে। আবার কারো কারো আঘাতজনিতও হতে পারে। যেমন মনে করেন যে নাক থেবড়ে যাওয়া- সেটা আঘাতজনিত কারণেও হতে পারে। জন্মগত কারণেও হতে পারে। অথবা কারো নাক হয়তো বেশি চওড়া, সেটা সে খাড়া করতে চায়।
আরেকটি জন্মগত কারণে যেটি হয়, নাকে মাঝখানের অংশটা একটু বেশি উঁচু থাকে। একে আমরা বলি ডরসাল হাম। এটা ঠিক করলে সুন্দর একটি আকার আনা যায়।
প্রশ্ন : এসব সমস্যায় করণীয় কী?
উত্তর : কসমেটিক সার্জারি দিয়ে এসব ঠিক করা হয়। এটি রোগীর চাহিদা অনুযায়ী করে থাকি। নাকের মাঝখানের হাড় যদি বাড়তি থাকে, আমরা সেই জায়গাটা কেটে দেই। কেটে একটি সুন্দর আকার করে দেই, অথবা কারো নাক যদি ভোতা থাকে তাহলে শরীরের অন্য কোনো জায়গা থেকে কার্টিলেজ এনে সিলিকন মেটেরিয়াল ভেতরে দিয়ে নাকটা খাড়া করে দেই। এই অস্ত্রোপচারের পদ্ধতিতে বাইরে কোনো দাগ পড়বে না। তাই বাইরে ক্ষত চিহ্ন করার কোনো আশঙ্কা নেই।
প্রশ্ন : সিলিকন ব্যবহারের কারণে কোনো সমস্যা হতে পারে?
উত্তর : এতে শরীরে তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। এটা দীর্ঘদিন ব্যবহার করা যায়। এটা বহুদিন শরীরে থাকলে কোনো ক্ষতি হয় না।
প্রশ্ন : এটি একবার করলে সারা জীবন থাকবে?
উত্তর : সারা জীবন এটি থাকবে। ব্যতিক্রমী কেসে কিছু সমস্যা হতে পারে।
প্রশ্ন : অনেকের ক্ষেত্রে নাক একদিকে বাঁকা থাকে, সেই ক্ষেত্রে কি করেন?
উত্তর : সেপটাল ডিভিয়েশনের জন্য যেটি হয়, এটা সাধারণত ভেতরে থাকে। এটা বাইরে থেকে খুব বেশি বোঝা যায় না। এই ক্ষেত্রে সেপটাম ঠিক করে একটি ভালো আকার দেই।